মিঠুন চক্রবর্তী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বেশ বড় রকমের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। ৫১২ নং জাতীয় সড়কের ধারেই মিঠুনের বাড়ি। মিঠুন চক্রবর্তীর স্ত্রী দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাবার বাড়ি হিলিতে বেড়াতে গিয়েছেন বেশ কয়েক দিন। তাই সোমবার রাতে তিনি নিজের ঘরে একাই ঘুমিয়ে ছিলেন। জানা গিয়েছে, সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ বিকট আওয়াজ আসে মিঠুনের ঘর থেকে। পাশের ঘরেই ঘুমাচ্ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তীর মা। সেই আওয়াজে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। ছুটে আসেন পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনরা। আত্মীয়দের বক্তব্য, তাঁরা এসে দেখেন মিঠুনের দেহ মেঝেতে পড়ে ছিল, তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল ও মুখে সেলোটেপ দেওয়া ছিল। প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীকে। ওই ভোররাতে প্রত্যক্ষদর্শীরা একটি সাদা গাড়ি বাড়ির সামনে দাঁড়াতে দেখেছে বলে জানিয়েছে। দুষ্কৃতীরা মিঠুনের ঘরের আলমারি ও অন্যান্য আসবাবপত্র তছনছ করেছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা।
মৃত্যুর খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন গঙ্গারামপুর মহকুমার এসডিপিও ও বংশীহারি থানার আইসি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বংশীহারী থানার পুলিস। মিঠুন বাবুর দেহ হাসপাতালে নিয়ে যেতেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খুনের ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।