দুশো ঘণ্টা পার। ১০ দফা দাবিতে এখনও ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশন মঞ্চে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তিনজন। পাঁচ সদস্যের ডাক্তারের টিম গঠন করা হয়েছে। তাদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে, যা যা পরীক্ষার নিরীক্ষা করার সব করা হচ্ছে। আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, আর কতজন আইসিইউতে গেলে তারপরে সরকারের হুঁশ ফিরবে?
এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য জট কাটাতে ফের উদ্যোগ নিল সরকার। আজ. সোমবার স্বাস্থ্যভবনে IMA-সহ সব চিকিত্সক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠকে শেষে চিকিত্সকরা বলেন, 'আমরা তো আজকে বৈঠকে CS স্য়ারকে বলেছি আজকেই বৈঠকেরর পর বিকেল বেলা ও সন্ধেয় সরকার তরফ থেকে মুখ্যসচিবই হোন, কারও না কারও ধরনার মঞ্চে যাওয়া উচিত, আলোচনা করা উচিত। স্বাস্থ্যভবন বা যেকোনও জায়গায় আলোচনা করে দাবিগুলি খতিয়ে দেখা যায়, আজকেই সেটা করা উচিত। মুখ্যসচিব সবটা শুনেছেন। বসেছেব, তারা আলোচনা করছেন। আমরা আশা করছি, সরকার আজকের রাতের মধ্যে একটা সদর্থক ভূমিকা নেবে'।
চিকিত্সকদের আরও বক্তব্য, 'আপনারা নির্দেশিকা দিন। তাঁরা যে দাবিগুলি করেছে, সেগুলি ন্য়ায়ঙ্গত। সবগুলিই মৌখিক। বলছেন, আমি ভাবছি, আমি ভাবব, ইতিবাচকভাবে ভাবব। আমরা স্বাস্থ্য় দফতরের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না, আপনাদের থেকে শুনছি। কিন্তু আমরা মনে করি, মুখ্য়সচিব বা স্বাস্থ্যসচিবের পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্য়বস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকার কথা। সব জানেন। জেনেশুনেই প্রস্তুতি না নিয়ে কেন এই মিটিং করলেন? এই বৈঠকে স্বাস্থ্য়সচিব ছিলেন না, কেন ছিলেন না জানি না। পরে শুনলাম তিনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। স্বাস্থ্যসচিবের উপস্থিতিতে বৈঠক করতে হত'।
বৈঠকের পর কি সমাধানসূত্র মিলবে? চিকিত্সকদের সাফ কথা, 'তারা আমাদের কথাগুলি শুনেছেন, এটুকু বলতে পারি। কিন্তু কি করবেন, কবে করবেন, তা বলতে পারব না। আমরা হতাশ, আমরা বিরক্ত বলতে পারেন। কারণ, এতগুলি ছেলে মেয়ে না খেয়ে বসে রয়েছেন, তাঁদের প্রতি কোনও সদর্থক বার্তা দিতে পারছি না'।