ধর্মতলায় তিনজন ও উত্তরবঙ্গে একজন, মোট চারজন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। কিন্তু ডাক্তাররা তাদের আন্দোলন থেকে সরে আসবেন না। যে যে কর্মসূচি তাদের রয়েছে সব কর্মসূচি পালন করা হবে। এমনটাই মত জুনিয়র ডাক্তারদের। ২০০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সমাধানসূত্র খুঁজতে গত বুধবার রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা বৈঠকে বসেছিলেন বটে। কিন্তু বৈঠক নিষ্ফলই হয়েছে।
জুনিয়র ডাক্তারেরা দাবি করেছিলেন, বৈঠকে মুখ্যসচিব তাঁদের অনশন তুলে সুষ্ঠু ভাবে পুজো কাটানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। অনশন তো ওঠেইনি, উল্টে আন্দোলন তীব্রতর করার পথে হেঁটেছেন তাঁরা। এখন পুজো কেটে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, উত্সবের আবহ কেটে গেলে কি বর্তমানের অচলাবস্থা কাটাতে সমাধানসূত্র বেরোবে?
স্বাস্থ্য-জট খুলতে ফের উদ্যোগ। আইএমএ-সহ সব চিকিত্সক সংগঠনের সঙ্গে আজ বৈঠক। আগেই নিষ্ফলা জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক। এবার খুলবে সমাধানের পথ? ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন সহ বেশ কয়েকটি চিকিত্সক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের। সেই মর্মেই রবিবার সংগঠনগুলিকে ইমেল করে জানানো হয়। আজ হবে সেই বৈঠক। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, প্রত্যেক সংগঠন থেকে দু’জন প্রতিনিধি থাকতে পারবেন সেই বৈঠকে। ইমেলে বলা হয়েছে, সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনে আজ দুপুরে বৈঠক হবে। তাতে থাকার জন্য সংগঠনগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছে।