• ফরাক্কায় নাবালিকাকে খুনের পাশাপাশি যৌন নিগ্রহও, কারণ খুঁজতে তদন্তে পুলিশ
    এই সময় | ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • ফরাক্কায় নাবালিকা খুনের ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও যুক্ত করল পুলিশ। রবিবার রাতেই এই ধারা যুক্ত করা হয়েছে। সোমবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। অভিযুক্তকে রবিবারই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘রবিবার রাতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও দায়ের হয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ তবে খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ কর্তারা।ফরাক্কা রেল কলোনিতে মামার বাড়ি বেড়াতে আসে এক নাবালিকা। তাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে দীনবন্ধু হালদার নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। দীনবন্ধুর বাড়ির খাটের তলা থেকে নাবালিকার বস্তাবন্দি দেহ মেলে। গ্রামবাসী ও পরিবারের লোক দীনবন্ধুকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

    অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ফরাক্কা থানার পুলিশ। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে এখনও চিকিৎসাধীন। পরিবারের লোকজন শুরু থেকেই দাবি জানিয়ে আসছিলেন, নাবালিকাকে ধর্ষণের পরে খুন করা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে শুধু খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। রাতে ধর্ষণের অভিযোগ যুক্ত করা হয়।

    জানা দিয়েছে, দীনবন্ধু ফুল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ওই নাবালিকাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সিপিএমের যুব সংগঠন DYFI অভিযোগ তুলেছে, পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। শিশুর মাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থানায় বসিয়ে রেখেও ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

    শুধু খুনের অভিযোগে মামলা করে পুলিশ। DYFI-এর মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্ব পরিবারের দাবির সমর্থনে মর্গের সামনে পুলিশকে আটকে বিক্ষোভ দেখায়। পরে বাধ্য হয়ে ধর্ষণের ধারা যুক্ত করে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা যদিও সাফ জানিয়েছেন, নিয়ম এবং পদ্ধতি অনুযায়ী যা যা করার সবটাই করা হয়েছে। অভিযোগ ভিত্তিহীন।
  • Link to this news (এই সময়)