কুলু থেকে কলকাতায় ঠাকুর দেখতে এসে বিপদে পড়েন রানি ওয়ালিয়া নামে এক তরুণী। বন্ধুদের সঙ্গে অ্যাপ ক্যাবে চেপে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন তিনি। প্রথম মণ্ডপ দেখার পরই ঘটে বিপত্তি। নিজের মোবাইল এবং ব্যাগ ক্যাবেই ফেলে আসেন রানি। পুজো দেখার আনন্দে তা বুঝতেই পারেনি তিনি। টনক যখন নড়ল, ক্যাব অনেকদূর চলে গিয়েছে। অসহায় রানির কাছে সহায় হলো হ্যাম রেডিয়ো। কী ভাবে নিজের ব্যাগ ফিরে পেলেন তিনি?রানি ওয়ালিয়ার খোওয়া যাওয়া ব্যাগে মোবাইল ছাড়াও ছিল টাকা ও তিনটি এটিএম কার্ড। অচেনা শহরে এসে মানিব্যাগ খুইয়ে মাথায় হাত পড়ে তরুণীর। ঠাকুর দেখার আনন্দ নিমেষে মাটি হয়ে যায়। নিউটাউনে একটি হোটেলে উঠেছিলেন কুলুর এই তরুণী ও তাঁর বন্ধুরা। তাঁরা সাহায্যের আশ্বাস দিলেও রানির চোখে ছিল জল।
তবে উৎসবের শহর বেশিক্ষণ মন খারাপ করে থাকতে দেয়নি রানিকে। যে অ্যাপ ক্যাবে তাঁর মানিব্যাগ খোয়া গিয়েছিল, সেটি পরে বুক করেন কোয়েনা মাইতি নামে এ শহরেরই এক বাসিন্দা। চিংড়িহাটা থেকে গাড়িতে উঠে বসতেই সিটের মধ্যে একটি ব্যাগ দেখতে পান কোয়েনা। সঙ্গে সঙ্গে চালককে সবটা জানান তিনি। চালকও আগের যাত্রী অর্থাৎ রানি ওয়ালিয়াকে ফোন করেন। কিন্তু কোনও সাড়া মেলে না।
উপায় না দেখে ব্যাগটি খোলেন কোয়েনা। দেখেন এটিএম কার্ড, টাকা এবং মোবাইল রয়েছে ভিতরে। লালবাজারে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান তিনি। পুলিশের তরফে ব্যাগটি জমা দিতে বলা হয় নিকটবর্তী থানায়। পুজোর সময় এটিএম কার্ড, মোবাইল ফোন হারিয়ে যাওয়া সমস্ত আনন্দ মাটি করে দিতে পারে। এ কথা ভেবে কোয়েনা শেষ পর্যন্ত হ্যাম রেডিয়ো ওয়েস্ট বেঙ্গলের সাহায্য চান। কোয়েনার আর্জিতে হ্যাম রেডিয়োর মাধ্যমে কুলুতে যোগাযোগ করা হয়।
কুলুর সিসামাটি এলাকার বাসিন্দা রানি ওয়ালিয়া। সেখানে তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় হ্যাম রেডিয়োর মাধ্যমে। তাঁরা কলকাতার বান্ধবীদের সবটা জানান। ব্যাগ ফিরে পাওয়ার খবর শুনে আনন্দে আত্মহারা হন রানি।
ব্যাগ ফিরে পেয়ে রানি বলেন, 'আমি বন্ধুদের সঙ্গে কলকাতায় ঠাকুর দেখতে এসেছিলাম। ব্যাগ হারিয়ে মাথায় হাত পড়ে গিয়েছিল। টাকা পয়সা, এটিএম কার্ড, মোবাইল সব ছিল ব্যাগের মধ্যে। হ্যাম রেডিয়োকে ধন্যবাদ আমায় ব্যাগ ফিরে পেতে সাহায্য করার জন্য।'