শুভেন্দু জানিয়েছেন, বিষাদের মধ্যে আমরা পুজো কাটিয়েছি। সিবিআই ৫৮দিনের মাথায় প্রাথমিক চার্জশিট দিয়েছিল। কারণ সঞ্জয় ৬০দিনে জামিন পেয়ে যেত। সিবিআইয়ের প্রবক্তা হিসাবে বলছি না। একজন আইনপ্রণেতা হিসাবে বলছি। জুনিয়র ডাক্তাররা যেখানেই আন্দোলন করুন না কেন, তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। সিবিআইয়ের উপর যেমন আস্থা রাখছি তেমনি তাঁদের এই আন্দোলনের উপরেও আস্থা রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকটা আন্দোলন শিষ্টাচার মেনে করছেন। তাঁরা মন খুলে দাবি করুন। সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে এই তদন্ত হচ্ছে। আমাদের সকলের উচিত সুপ্রিম কোর্টের উপর আস্থা রাখা।
শুভেন্দু বলেন, মুখ্য়মন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী কার্নিভাল করছেন রেড রোডে। ডাক্তারবাবুরা দ্রোহের কার্নিভাল করছেন রানী রাসমণি রোডে। মুখ্য়মন্ত্রীর কার্নিভালের সঙ্গে দ্রোহের কার্নিভালের অনেক দূরত্ব রয়েছে। একই দিনে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ব্যক্তিগত মহিমা প্রচারের জন্য কিছু করলে অন্য কেউ কোথায় কিছু করবে না এমনটা নয়। মুখ্য়মন্ত্রী ভয় পাচ্ছেন। সেকারণে মুখ্য়সচিবকে দিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছেন। অবাস্তব প্রস্তাব পাঠাচ্ছে।
ফরাক্কায় নাবালিকা খুনের ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু বলেন, প্রথমে পুলিশ পসকো লাগাতে চায়নি। পুলিশ আড়াল করতে চাইছে। যেভাবে কোভিড, ডেঙ্গুর সংখ্য়াকে গোপন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে সেরকমই পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া আছে..এই রাজ্যে নারী সুরক্ষা নেই। পুলিশ নারী ও শিশুদের সুরক্ষা দিতে পারছে না।
শুভেন্দু বলেন, তাঁরা যে দাবি করেছেন এই দাবি নিয়ে এত জেদাজেদির কিছু নেই। একসময় সিপিএম এমন জেদাজেদি করত। আমরা ২৩৫ আর ওরা ৩০আর এখন মুখ্য়মন্ত্রী জেদ ধরেছেন আমরা ২২০ আমি কারোর কথা শুনব না। পুলিশ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমরা স্বাস্থ্যভবন সহ সর্বত্র দরবার করব। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য আধিকারিককে ঘেরাও করবে। অবিলম্বে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক করতে হবে।
১৬ তারিখ পর্যন্ত সরকারকে সময় দিচ্ছি। আগামীকাল কার্নিভাল বয়কট। এর সঙ্গে শাস্ত্রের সম্পর্ক নেই। যিনি শিল্প তাড়িয়েছিলেন তিনি এখন নিজের মহিমা প্রচার করার জন্য এসব করছেন। সরকারি কোটি কোটি টাকায় এসব করছেন। আগামীকাল কলেজ স্কোয়ার থেকে বিশিষ্টজনেরা একটি মিছিলের ডাক দিয়েছেন। সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার পর্যন্ত তার অনুমতি রয়েছে। আমরা পতাকা ছাড়া সেখানে থাকব।মশাল শঙ্খ জাতীয় পতাকা নিয়ে থাকব। কার্নিভাল বয়কট করুন। হাতে মশাল নিয়ে হাঁঠুন। জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।