• আন্দোলনে থেকেও অরন্ধনে সাড়া দিলেন না অনেকেই, যিনি রাঁধেন তিনি প্রতিবাদও করেন!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • রবিবার বাংলার ঘরে ঘরে অরন্ধনের ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এমনকী রাখী বন্ধনের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল। এবার প্রশ্ন বাংলার ঘরে ঘরে উৎসবের দিনে আদৌ কি অরন্ধন পালিত হল? কতটা সাড়া মিলল?

    সূত্রের খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে সকলের বাড়িতেই যে রান্না বন্ধ ছিল এমনটা নয়। রবিবার সকাল থেকেই দেখা গিয়েছিল মাছ, মাংসের দোকানের সামনে লম্বা লাইন। সবজির বাজারের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। মিষ্টির দোকানেও ভিড় কিছু কম ছিল না। 

    আসলে তড়িঘড়ি করে অরন্ধনের ডাক দেওয়া হলেও বাংলায় তার মিশ্র সাড়া পড়ে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত, তাঁদের ধর্নামঞ্চে নিয়মিত যান এমন অনেকে সেদিন অরন্ধন পালন করেছিলেন। কিন্তু সকলেই যে অরন্ধন পালন করেছেন এমনটা নয়। 

    তবে সেদিন অরন্ধন পালন করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। জুনিয়র ডাক্তারদের পরিবারের অনেকেই সেদিন অরন্ধন পালন করেছিলেন। সেই সঙ্গেই এই আন্দোলনের প্রতি তীব্র আবেগ রয়েছে তেমন অনেকেই অরন্ধন পালন করেছিলেন সেদিন। 

    জুনিয়র ডাক্তাররা আহ্বান করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে আগামী রবিবার আপনারা ঘরে ঘরে অরন্ধন কর্মসূচি পালন করুন। সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন অনেকেই। তবে বাংলার বহু পরিবার রয়েছে যারা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে একেবারেই একমত। তবে নানা কারণে তাঁরা সেদিন অনশন পালন করতে পারেননি। আসলে পুজোয় সময় অনেকের বাড়িতেই আত্মীয় স্বজন আসেন। বছরের এই চারটে দিন কাজকর্ম কিছুটা হালকা থাকে। সব মিলিয়ে খাওয়াদাওয়াটা উৎসবের অঙ্গ। সেকারণেই রান্না। তার অর্থ এটা নয় যে সেই পরিবারগুলি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের সঙ্গে একমত নন। 

    এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ইতিমধ্য়েই কটাক্ষ করছেন তৃণমূলের একাংশ। তৃণমূল কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গ শাখার আইটি সেলের সাধারণ সম্পাদক নীলাঞ্জন দাস সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের 'পাঁড় মাতাল' আখ্যা দিলেন। তাঁর অভিযোগ, আগে থেকেই অত্যধিক মদ্যপান করার জেরে জুনিয়র ডাক্তারদের অনেকেরই লিভারের সমস্যা রয়েছে। আগে থেকেই এই সমস্যা থাকার জেরেই অনশন চলাকালীন তাঁদের কারও কারও রক্ত বমি হচ্ছে, কালো মলত্যাগ করছেন।

    অন্যদিকে হাইকোর্টে এবার বড় ধাক্কা খেয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। নিজের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। সেই মামলার শুনানি যাতে তাড়াতাড়ি করা হয়, সেই আর্জি জানিয়ে বিচারপতি পার্থসারথি সেনের একক বেঞ্চে আর্জিও জানিয়েছিলেন সন্দীপ। তবে বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন, 'মামলাটি যে এখনই জরুরি ভিত্তিতে শুনতে হবে, এমন কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।'
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)