আরজি কর কাণ্ডের জেরে গ্রেফতার হয়েছেন দু'টি মামলায়। সেই সন্দীপ ঘোষের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে সেই রেজিস্ট্রেশন বাতিল নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। দাবি করা হচ্ছে, সব নিয়ম মেনে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়নি। এই সবের মাঝেই নিজের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন সন্দীপ ঘোষ। সেই মামলার শুনানি যাতে তাড়াতাড়ি করা হয়, সেই আর্জি জানিয়ে বিচারপতি পার্থসারথি সেনের একক বেঞ্চে আর্জিও জানিয়েছিলেন সন্দীপ। তবে বিচারপতি সাফ কথায় বলে দিলেন, 'মামলাটি যে এখনই জরুরি ভিত্তিতে শুনতে হবে, এমন কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।'
এর আগে অভিযোগ উঠেছিল, সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল অবৈধ। জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফ থেকে এই অভিযোগ করা হয়েছে। এই আবহে ডাক্তার মহলে তৈরি হয়েছে ধন্দ। অভিযোগ, নিয়ম বহির্ভূত ভাবে যদি সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হয়, পরে সেই রেজিস্ট্রেশন ফেরত পেয়ে যেতে পারেন সন্দীপ। দাবি করা হয়, ২০২০ সালে অবসর গ্রহণ করেছিলেন রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী। এরপর ৬ মাসের জন্যে তাঁর মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তবে তারপর আর সেই মেয়াদ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। এই আবহে তিনি সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করলে তা কীভাবে বৈধ? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
উল্লেখ্য, গত ৯ অগস্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। তারপর আর এই বৈঠক বসেনি। তবে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে গেলে কাউন্সিলের সদস্যদের বৈঠক ডেকে সেই সিদ্ধান্ত দুই তৃতীয়াংশ ভোটে পাশ করানো নিয়ম। এদিকে কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায়ের মৌখিক নির্দেশে রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ। এই আবহে চাপের মুখে নিয়ম না মেনে সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। দাবি করা হচ্ছে, এই ভাবে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করায় পরবর্তীতে সন্দীপ ঘোষ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অনায়াসে নিজের রেজিস্ট্রেশন ফেরত পেতে পারেন। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী, গ্রেফতারির পরে সাসপেন্ড হয়েছিলেন সন্দীপ। এরপর সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাসপেন্ড হওয়ার আগে ১২ অগস্ট থেকে সন্দীপ ঘোষ যে এক্সট্রা অর্ডিনারি লিভে গিয়েছিলেন, সেদিন থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়কালের বেতন পাবেন না তিনি।