বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও প্রতীকী অনশন, কর্মবিরতি একাধিক জায়গায়
এই সময় | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে সোমবার থেকেই আংশিক কর্মবিরতির পথে হাঁটল কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল। পিয়ারলেস, ফর্টিস, সি কে বিড়লা গোষ্ঠীর দুই হাসপাতাল-সহ একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন হচ্ছে। অ্যাপলো, মণিপাল, আরএন টেগর হাসপাতালেও চলছে আংশিক কর্মবিরতি। পিয়ারলেস হাসপাতালেও ১২ ঘণ্টার অনশনে বসেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশাপাশি বর্ষীয়ান মানুষজনদের পরিষেবা দেওয়া একটি সংস্থা-‘বাঁচবো-দ্য হিলিং টাচ ফাউন্ডেশন তাদের নন-ইমার্জেন্সি পরিষেবা বন্ধ রেখেছে।
একের পর এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ‘গণ ইস্তফা’-র পর একাধিক বেসরকারি হাসপাতালও নন-ইমার্জেন্সি পরিষেবা বন্ধ করার পথে হাঁটতে শুরু করেছে। অনশনকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে শহরের একাধিক হাসপাতাল এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রোগীরা যাতে পরিষেবা পান, তার জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে বলে চিকিৎসকরা দাবি করেছেন। সোমবার সকাল ছ’টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত, ৪৮ ঘণ্টার প্রতীকী কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব পরিষেবা বন্ধ থাকবে বলে চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে।
সরকারি হাসপাতালগুলিতে অপর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ১০ দফা দাবিতে কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গে অনশনে বসেছেন বেশ কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক । তাঁদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সিনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, অনশন তুলতে সরকার কোনও সদর্থক ভূমিকা পালন করছে না। তারই প্রতিবাদে জানিয়ে ‘গণইস্তফা’ এবং বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা কর্মবিরতির পথে হাঁটতে শুরু করেন।
সোমবার অনশনকারীদের দাবিগুলি নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। কিন্তু সেই বৈঠকও ফলপ্রসু হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।