পরিবার থেকে জানা যায়, অংশু নন্দী পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় কর্মরত। পুজোর ছুটি উপলক্ষে বাড়িতে এসেছেন। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ বালুরঘাট কাঁঠালপাড়ার বাসিন্দা সাহাবাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জনে আসে পরিবারের সদস্যরা। নিরঞ্জন করার পর দেবীর প্রতিমা আরো জলের দিকে ঠেলতে গেলে তিনজন জলে তলিয়ে যেতে থাকে। উপস্থিত পরিবারের অন্য সদস্যরা বাঁচানোর চেষ্টা করেন। পরিবার সুত্রের খবর ঘাটে সেই সময় নৌকায় দু তিনজন ছিলেন তাদের প্রচেষ্টায় দুজনকে উদ্ধার করা যায়। দুজনকেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়, হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা শ্যামল কুমার দত্তকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিরঞ্জনে যেকোনও পরিস্থিতিতে সামাল দেওয়ার জন্য আগে থেকেই জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে স্পিডবোট ডুবুরি সহ বিভিন্ন ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। জলে ডুবে যাওয়া খবর পাওয়া মাত্রই পুলিস উদ্ধারকাজ শুরু করে। কিন্তু অংশু নন্দীর কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
ঠাকুরের কাঠামো তুলতে আসা এক গৃহবধূ লক্ষ্মী হালদার বলেন ঠাকুর বিসর্জন এর পর তিনজন মিলে কাঠামোটিকে মাঝ নদীর দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল তখনই স্রোতের মুখে পড়ে যায় এবং চোখের সামনেই তিনজন ভেসে যেতে থাকে। দুজনকে দড়ি দিয়ে ও বাঁশ ফেলে কোনো রকম ভাবে উদ্ধার করা গেলেও তৃতীয় জনকে আটকানো যায়নি। কিছু দুর পর্যন্ত তার হাত দেখা গেছে কিন্তু তারপর আর তার কোন হদিস নেই। বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেছেন, 'সমস্ত রকম ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। আমরা বারবার নিষেধ করেছিলাম জনগণকে যাতে প্রশাসনে অনুমতি ছাড়া অন্য কোন ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন না হয়। এই ঘাটের স্রোত বেশি ছিল, যারা সাঁতার জানে না তারা জলে নেমেছে এবং দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে। আমাদের ব্যবস্থা ছিল আগে থেকে, আমরা স্পিডবোর্ড ডুবুরি নামিয়েছি আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য নিখোঁজ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির দ্রুত উদ্ধার।'