• পুজো মিটলেই প্রচারে ঝাঁপাও, সাংসদ-বিধায়কদের নির্দেশ মমতার
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • প্রবীর চক্রবর্তী: আরজি ইস্যুতে অনেকটাই কোণঠাসা রাজ্য সরকার। জুনিয়র ডাক্তারদের অনেক দাবি রাজ্য সরকার মেনে নিলেও ডাক্তাররা বলছেন অন্যকথা। তাঁদের দাবি, সরকার তাদের অনেক দাবিই মানেনি। ফলে ধর্মতলায় অনশনে বলেছেন তাঁরা। আর তাঁদের সেই দাবিকে সমর্থন করছে বিরোধীরা। এনিয়ে এবার পাল্টা সক্রিয় হতে চলেছে সরকার।

    সূত্রের খবর, দলের সাংসদ, বিধায়কদের মমতার নির্দেশ, বিরোধীদের প্রচারের জবাব দিতে এবার পুজোর পরই প্রচারে নামতে হবে। বিজেপি, সিপিএমেক কুত্সা, আরজি কর ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতির জবাব দিতে হবে। এনিয়ে দলের বক্তব্য নিয়ে লাগাতার প্রচারে নামতে হবে।

    তরুণী চিকিত্সকের খুনের পরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন কয়েক দিন সময় দিন। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতার করা হবে এবং তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনিয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকলে তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আদালতের নির্দেশে তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতেই। দায়িত্ব নিয়ে সিবিআই এখনওপর্যন্ত সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ফলে রাজ্য পুলিসের তদন্ত যে ঠিকই ছিল তা এখনওপর্যন্ত কোনও ধাক্কা খায়নি।

    এদিকে, আরজি করের নির্যাতিতার মৃত্যুতে সিভিক ভল্যান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হলেও ময়দানে নেমে পড়ে নাগারিক সমাজ। শুরু হয় রাত দখল-সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ-সভা। এর মধ্যেই বিজেপি ও সিপিএম বিভিন্নভাবে ওই আন্দোলনে ঢোকার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা হালে পানি পায়নি। কিন্তু সরকার বিরোধী প্রচারে তারা পিছিয়ে থাকেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে কোনও বিরূপ মন্তব্য করা থেকে দলের নেতামন্ত্রীদের বিরত থাকতে বলা হয় তৃণমূলের তরফ থেকে।  কিন্তু সেই নীতি থেকে এবার সরে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বিরোধীদের কুত্সার পাল্টা প্রচারের জবাব দিতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। নেই নির্দেশই এল দলনেত্রীর কাছ থেকে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)