ঘটনাটি ঠিক কী? হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। আদালতে চার্জশিটও জমা পড়ে গিয়েছে। কিন্তু পুলিসের পর এবার সিবিআই-তেও অনাস্থা জুনিয়র ডাক্তাদের! কেন? সূত্রের খবর, গণধর্ষণ নয়। আরজি কর ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে অভিযুক্ত একজন-ই, সঞ্জয় রায়। এই মর্মেই চার্জশিট জমা পড়েছে শিয়ালদহ কোর্টে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, 'এই ঘটনা একজন ঘটিয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি না'।
ধর্মতলায় অনশন কর্মসূচির মাঝেই রাজভবন অভিযান করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কবে? আজ, সোমবার। রাজভভবনে যান জুনিয়র ডাক্তারদের ১২ জন প্রতিনিধি। বাইরে বেরিয়ে তাঁরা বলেন, 'খুব সন্তুষ্ট এটা তো বলতে পারি না। আমরা ডেপুটেশন জমা দিতে চেয়েছিলাম। আলোচনাও চেয়েছিলাম। আমরা ডেপুটেশন জমা দিয়েছি। আশা করি, ওনার থেকে বার্তা পাব। ব্যক্তিগতভাবে কোনও বাক্য়ালাপ হয়নি'।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তাররা যেদিন রাজভবন অভিযান করলেন, সেদিনই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অচলাবস্থা কাটাতে IMA-সহ সব চিকিত্সক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ১০ দাবির মধ্যে ৭টা মানা হয়েছে। এই ইস্যুতে এই ইস্যুতে কোনও টাইমলাইন দেওয়া সম্ভব নয়'।
জুনিয়র ডাক্তারদের পাল্টা দাবি, '১০টার দাবির মধ্যে ৭টা মেনে নেওয়া হবে বলা হচ্ছে, এটাই মিথ্য়া কথা। এই যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে বলা হচ্ছে এই সর্বেব মিথ্য়া। ৯০ শতাংশ কাজ হয়নি। আমরা গ্রাউন্ড আমরা গ্রাউন্ড রিপোর্ট দিতে পারি'। তাঁদের বক্তব্য়, বাকি যে ৩ দাবির কথা বলছেন, জানি না সেটা কোনগুলি হতে পারে। স্বাস্থ্যসচিব, নির্বাচনের ক্ষেত্রেও হতে পারে। রিক্রুটমেন্ট হতে পারে। এই গোটার ক্ষেত্রে কেন টাইমলাইন দিতে পারবেন না, সেটা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। আজকেই হোক, কালকেই হোক এটা আমরা কিন্তু বলছি না। আমরা বারবার বলছি একটা সময়ের মধ্যে।২ মাস হোক, ৩ মাস হোক এই সময়ের মধ্যে আমরা এই কাজটা করব। এই আশ্বাসটা কেন দেওয়া যাচ্ছে না, এটা কিন্তু সদিচ্ছার অভাব, মানবিকতার অভাব'।