‘শয়তানি বুদ্ধি আছে, বাচ্চাগুলোকে নষ্ট করছে’, অনশন নিয়ে খোঁচা কল্যাণের
এই সময় | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন নিয়ে খোঁচা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জুনিয়র ডাক্তাররা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া পর্যন্ত অনশন চালাচ্ছেন বলে কটাক্ষ তাঁর। এমনকী, জুনিয়র ডাক্তারদের বিপথে চালিত করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি। কল্যাণ বলেন, ‘জুনিয়র ডাক্তার ওরা। বাচ্চা ছেলে। ওদের একটু সুপথে চালিত করতে পারত। কিন্তু কয়েকটা মাথা আছে, শয়তানি বুদ্ধি আছে। তাঁরাই বাচ্চাগুলোকে নষ্ট করছে।’জুনিয়র ডাক্তাররা অনশন মঞ্চে কোনও রাজনৈতিক নেতাকে উপস্থিত থাকার ব্যাপারে মানা করেছেন। এ ব্যাপারে কল্যাণ বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা রাজনৈতিক নেতাদের মঞ্চে স্থান দিচ্ছেন না এক প্রকার ভয়ে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন এতে তাঁরা চিহ্নিত হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দল থেকে লোক আনা হচ্ছে।’ পাল্টা, জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে, দম ধরে রাখার জন্য অনশন। এই কথার অর্থ কী? আমরা এখানে চা, স্যান্ডউইচ খেয়ে অনশন করছি না।’
গত ৫ অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় অনশন শুরু করেন ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার। এর মধ্যে ৪ জন জুনিয়র ডাক্তার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। অনিকেত মাহাতো, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য, তনয়া পাঁজা ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে কটাক্ষের সুরে কল্যাণ বলেন, ‘এটা আমরণ অনশন কোথায়? ফাস্টিং আপটু হসপিটালাইজেশন হচ্ছে। এক জন অনশনে বসছে। তার পর হাসপাতালে চলে যাচ্ছে। রিলে অনশন হচ্ছে।’
টানা দশদিন ধরে অনশন চলছে ধর্মতলায়। রোজই জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে হাজির হয় নাগরিক সমাজ। শহরের বিশিষ্ট জনেরাও হাজির হন অনশন মঞ্চে। রবিবার গায়িকা মৌসুমি ভৌমিক হাজির হন মঞ্চে। বিষয়টি নিয়ে কল্যাণ বলেন, ‘আন্দোলনে আবার কোনও কোনও গায়িকাকে ভাড়া করে নিয়ে আসছে। একটু গান-টান গাইবে।’