SSKM হাসপাতালে বহিরাগতদের তাণ্ডব, ভাঙচুরের ঘটনায় ধৃত ৫
এই সময় | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
এই সময়: হাসপাতালে নিরাপত্তার দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে দু’মাসের উপরে। ধর্মতলায় তাঁদের অনশনও দশ দিন পেরিয়েছে। সেই আবহেই পুজোর মধ্যে এসএসকেএম হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় আতঙ্কে সেখানকার কর্মচারী এবং চিকিৎসকদের একাংশ। রবিবার সকালে দুই রোগীর পরিবারের মধ্যে ঝামেলায় এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারের বাইরে হকি স্টিক-উইকেট নিয়ে বেপরোয়া ভাবে হামলা চালান কয়েক জন যুবক।সেই ঘটনায় সোমবার পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। যে বাইকগুলি নিয়ে অভিযুক্তরা হাসপাতালে ঢুকেছিল, সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণের ঘটনার পর ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন চিকিৎসকেরা। সেই সব দাবির মধ্যে রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত সুরক্ষার দাবি অন্যতম। এসএসকেএম সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার বাসিন্দা সৌরভ মোদকের বাবা এসএসকেএমে ভর্তি ছিলেন। রবিবার ছুটি পাওয়ার কথা ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, এসএসকেএমে অশান্তির আগে সৌরভের সঙ্গে একপ্রস্ত কথা কাটাকাটি হয়েছিল অভিযুক্তদের। সৌরভ হাসপাতালে যাওয়ার সময়ে তারা পিছু নেয়। তার পরেই চলে মারধর। অভিযোগ, ১৫-১৬ জন যুবক উইকেট এবং হকি স্টিক নিয়ে হাসপাতালে ঢুকে কয়েকটি বাইক ভাঙচুর করে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় সৌরভেরও।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত আরমান বড়ুয়া, জিৎ ঘোষ, অভিজিৎ ঘোষ, নিয়াজ আহমেদ এবং শাহনাজ আলি খান চেতলা এবং নিউ আলিপুরের বাসিন্দা। সবার বয়স কুড়ি থেকে আঠাশের মধ্যে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আরও কয়েক জনের খোঁজ চলছে। ঠিক কী কারণে গোলমাল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সৌরভের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। মাথা, মুখ, পা এবং কব্জিতে আঘাত পেয়েছেন ওই যুবক।
এসএসকেএম হাসপাতালে তাণ্ডবের ঘটনার পর আরও এক বার সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের বক্তব্য, প্রায়ই এ ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন ডাক্তার থেকে শুরু করে রোগীদের পরিবারের লোকজন। নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই। হাসপাতালে সুরক্ষার এই হলো হাল!’