এই সময়, মালদা: দশমীর মেলা দেখে ফেরার পথে এক তরুণীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে অভিযুক্ত যুবককে গণপিটুনি দিল উত্তেজিত জনতা। রবিবার রাতে মালদার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় এই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত যুবক এবং হামলাকারীদের চার জনকে আটক করেছে। অভিযুক্তের এক বন্ধুরও খোঁজ চলছে।নির্যাতিতাকে সোমবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দিতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরা পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের অভিযোগ, গণধর্ষণের ঘটনা আড়াল করতে পুলিশ ওই তরুণীকে কোথাও সরিয়ে দিচ্ছে। এই দু’পক্ষের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে পুলিশ তাঁকে আদালতে নিয়ে যায়।
মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘আক্রান্ত তরুণী বা তাঁর বাড়ির লোক কেউই ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। দুটি হাসপাতালের মেডিক্যাল রিপোর্টেও ধর্ষণের উল্লেখ নেই। বরং তরুণী জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক তাঁর পূর্ব পরিচিত। বছর দেড়েকের সম্পর্ক। কিন্তু মাঝে কিছুদিন যোগাযোগ ছিল না। রবিবার রাতে রাস্তায় একা পেয়ে কথা বলার নাম করে জোর করেই ওই নির্জন জায়গায় তাঁকে নিয়ে যায় এবং শারীরিক সম্পর্ক করার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। তখনই গ্রামের ছেলেরা চলে আসায় বিপদের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন তরুণী।’
রবিবার রাতে বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার দুই যুবক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে দেখতে পান, নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির কাছে এক যুবক তাঁদের গ্রামেরই এক তরুণীর হাত ধরে টানাটানি করছে। তাঁরা ছুটে গেলে যুবকটি পালিয়ে যায়। ওদিকে চিৎকার-চেঁচামেচিতে গ্রামের লোকজন জড়ো হয়ে যায়। মেয়েটির বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের লাগাতার ধমক ও জেরার চাপে তরুণী এক সময়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই মালদা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।
ওদিকে ততক্ষণে এলাকায় রটে গিয়েছে যে তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। উত্তেজিত গ্রামবাসীরা পাশের গ্রামে যুবকটির বাড়িতে হামলা চালায়। অভিযুক্ত যুবককে ধরে গণপিটুনি দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে যুবকটিকে থানায় নিয়ে আসে।