• ৭০০ বন্দুকবাজ ছড়িয়ে আছে দেশ জুড়ে, জেল থেকে কীভাবে খুনের সাম্রাজ্য চালান লরেন্স বিষ্ণোই
    আজকাল | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাণিজ্য নগরীতে খুন হয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। ভোটমুখী মহারাষ্ট্রে শনিবার সন্ধেয় নিজের অফিস থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠার আগে পরপর তিনটে গুলি এসে লাগে প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি এর শরীরে। সঙ্গে ছিলেন ছেলে। তারপর থেকেই জোর চর্চায় ফের উঠে এসেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম। ২০২২ সালে পাঞ্জাবের মানসায় পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুজ ওয়ালার হত্যার ঘটনা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইকে আন্তর্জাতিক ভাবে পরিচিত করে।

    ফের চর্চায় বাবা সিদ্দিকির খুনের ঘটনায়। তাতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি এবং হিমাচলপ্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং দেশের বাইরেও ছড়িয়ে রয়েছে বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। খুন-রাহাজানি-সহ একগুচ্ছ গুরুতর ঘটনায় পরপর উঠে এসেছে তার নাম। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, এই দলের প্রধান টার্গেট উচ্চবিত্ত, ধনবান তারকা, ব্যবসায়ীরা।

    কে এই লরেন্স? লরেন্স বিষ্ণোই, ১৯৯৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন, পাঞ্জাবের আবোহারের কাছে ধাতারানওয়ালি গ্রামে। তার বাবা ছিলেন হরিয়ানা পুলিশ কনস্টেবল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়কাল থেকেই অপরাধের সঙ্গে তার যোগাযোগ বলে জানা যায়। প্রশ্ন ওঠে, জেলে থেকেও কীভাবে এই বিশাল গ্যাং চালায় সে? জানা যায়, সবরমতী হোক বা তিহার, সে সবসময় ফোন ব্যবহার করে থাকে।

    গ্যাং-এর বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য বেশকিছু অ্যাপ ব্যবহার করে বলেও জানা গিয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা বলছে, বিষ্ণোইয়ের দলের অন্তত ৭০০ বন্দুকবাজ ছড়িয়ে রয়েছে দেশজুড়ে। বছরের পর বছর, যেমন বহরে বেড়েছে এই গ্যাং, তেমনই বেড়েছে তাদের কার্যকলাপ। এমনকি কারাগারের আড়ালে থেকেও, লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের কার্যক্রমের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে বলে মনে করা হয়। জেল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ করেছে যে লরেন্স বিষ্ণোই, ভারতের সর্বাধিক-নিরাপত্তা সুবিধার মধ্যে বন্দী অন্যান্য গ্যাং নেতাদের মতো, কারাগারের মধ্যে থেকে তার অপরাধী সাম্রাজ্য চালায়।
  • Link to this news (আজকাল)