দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মাঠপাড়ার নতুন নামকরণ করলেন চেয়ারম্যান
বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, বোলপুর: দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে এলাকার নতুন নামকরণ করলেন বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ। বোলপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের মাঠপাড়া এবার থেকে পরিচিত হবে শহিদ ক্ষুদিরাম পল্লি বলে। এমনটাই জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। এলাকাটি একেবারেই পিছিয়ে পড়া। অধিকাংশ বাসিন্দাই খেটে খাওয়া ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির। তাঁদের পুজোর বয়সও মাত্র তিন বছর। বিশাল জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও তাঁরাও মেতেছেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো উদযাপনে। তবে নিজেদের এলাকার নাম নিয়ে অনেকেই অসন্তুষ্ট ছিলেন। নতুন নামকরণ করে তাঁদের সেই ইচ্ছাপূরণ করলেন চেয়ারম্যান। দুর্গাপুজোর আবহে তাঁর এই পদক্ষেপে খুশি এলাকাবাসী।বোলপুর শহরের এক প্রান্তে রয়েছে কালিকাপুরের মাঠপাড়া এলাকাটি। বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান এই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলার। একটা সময় পর্যন্ত দুর্গাপুজোর উৎসবের দিনগুলোতে অন্ধকারেই কাটাতে হতো মাঠপাড়ার বাসিন্দাদের। কারণ, আর্থিক কারণের জন্য বাসিন্দারা পুজোর আয়োজন করতে পারেননি। তাই বাড়ির গৃহবধূ তথা কচিকাঁচাদের পুজো দেখতে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে যেতে হতো। আনন্দের দিনে এভাবে উৎসবহীন এলাকা মোটেই ভালো লাগেনি স্থানীয় যুবকদের। তাই সব বাধা অতিক্রম করে তিন বছর আগে ২০২২ সালে প্রথম দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন এলাকাবাসী। উদ্যোগ নিয়েছিল স্থানীয় দেশবন্ধু ক্লাব। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। তিন বছর ধরে সফলভাবে তারা পুজোর আয়োজন করছে। মহাষষ্ঠীর দিন সেই পুজোর উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য সুদীপ্ত ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী তথা বোলপুরের চেয়ারম্যান পর্ণাদেবীকে। সেখানেই এলাকার নাম নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আপত্তির বিষয়টি জানতে পারেন পুরসভার চেয়ারম্যান। এরপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাঠপাড়ার পরিবর্তে শহিদ ক্ষুদিরাম পল্লি নামকরণের প্রস্তাব দেন তিনি। এতে এলাকার মানুষ এক কথায় রাজি হয়ে গেলে ওই নামই রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই নিয়ে ক্লাবের সম্পাদক তাপস বীরবংশী বলেন ২৫ বছরের পুরনো এই জনবসতি হলেও এলাকায় ছিল না কোনও দুর্গাপুজো। পুজো দেখতে যেতে হতো পাশের পাড়া ও ওয়ার্ডের দুর্গামাতা ক্লাব, হরগৌরী যুব সঙ্ঘ, লোকনাথ ক্লাব, আদ্যাশক্তি সঙ্ঘ, জোড়াসাঁকো ক্লাব প্রভৃতি জায়গায়। তাই সব বাধা পেরিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজোর সফল আয়োজন করতে পেরে আমরা গর্বিত। একই সঙ্গে এলাকার নতুন নামকরণেও আমরা যথেষ্ট খুশি। চেয়ারম্যানের এই পদক্ষেপকে আমরা স্বাগত জানাই। • নিজস্ব চিত্র