• নাদনঘাটের আশ্রমে দেবীর সাজে ছোটরা পুজো করলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালনা: মৃন্ময়ী মায়ের পাশাপাশি রবিবার নাদনঘাট দামোদরপাড়া অনাথ ও বৃদ্ধাশ্রমে চিন্ময়ী মানবপুজো করলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। রীতি মেনে পুরোহিত দিয়ে পুজোর্চনার শেষে সকলে অঞ্জলি দিলেন চিন্ময়ী মায়ের কাছে। পুজো দেখতে বহু মানুষ হাজির ছিলেন।


    দুই দশকের বেশি সময় ধরে নাদনঘাট থানার দামোদরপাড়ায় সমাজকল্যাণ হোম অনাথ ও বৃদ্ধাশ্রমে দুর্গাপুজো করে আসছেন মন্ত্রী। মৃন্ময়ী দেবী দুর্গার পাশাপাশি অনাথ আশ্রমের কচিকাঁচাদের চিন্ময়ী দেবী রূপে পুজো করে আসছেন। অনাথ আশ্রমে ২৫জন আবাসিক রয়েছে। এর মধ্যে ১৯জন অনাথ শিশু। পুজোর চারদিন নানা অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আশ্রমিক ও আশপাশের কয়েকশো মানুষের ভুরিভোজ চলে। রবিবার দেবী দুর্গা সাজে নবম শ্রেণির ছাত্রী দেবলীনা, অসুর সাজে অষ্টম শ্রেণির সুমি। সুরলীনা লক্ষ্মী ও নবম শ্রেণির ছাত্রী প্রমীলা সরস্বতী সাজে। গণেশ হয় সপ্তম শ্রেণির রোহিত। কার্তিকের ভূমিকায় সাজে ষষ্ঠ শ্রেণির গোপাল। সিংহ হয় অষ্টম শ্রেণির রিয়া ও ইঁদুর সাজে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া বিপিন। আশ্রমিক অন্যান্য ছেলেমেয়েরা নতুন পোশাকে মায়ের কাছে অঞ্জলি দেয়। 


    সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ দৃষ্টিহীন সৃষ্টিধর সাঁতরা কাঁপা হাতে ঢাকের তালে কাঁসি বাজিয়ে সকলের মন জয় করেন। আশ্রমের ছোটদের কাছে মন্ত্রী ‘স্বপনদাদু’। কয়েক বিঘা এলাকা নিয়ে গাছগাছালিতে ভরা আশ্রম প্রাঙ্গণ বহু মানুষের ভ্রমণকেন্দ্র হয়ে ওঠে। আশ্রমে তাদের জন্য খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা থাকে।


    স্বপনবাবু বলেন, আশ্রম গড়ে ওঠার পর অনাথ শিশু ও বৃদ্ধবৃদ্ধাদের কথা ভেবে আশ্রমেই দুর্গাপুজো শুরু করি। সময় পেলেই আমি অনাথ আশ্রম ও বৃদ্ধাশ্রমে ওদের সঙ্গে থাকি। ওদের মধ্যেই হারানো শৈশব খুঁজে পাই। মৃন্ময়ী মায়ের পাশাপাশি ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ও অসহায় বৃদ্ধবৃদ্ধারাই আসল চিন্ময়ী রূপ। তাই দশমীর দিন ছোট ছেলেমেয়েদের দুর্গা, অসুর, গণেশ কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী সাজে মানব পুজো শুরু করি। আজও সেই ধারা চলছে। যতদিন পারব ওদের সঙ্গেই পুজোর আনন্দ ভাগ করে নেব।
  • Link to this news (বর্তমান)