• দুই বর্ধমানে কার্নিভাল ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান ও আসানসোল: কার্নিভাল ঘিরে উন্মাদনায় ভাসল পশ্চিম বর্ধমানের শিল্পাঞ্চল থেকে শস্যগোলা পূর্ব বর্খমান। বর্ধমানের মঞ্চ মাতালেন বলিউডের দুই তারকা মহিমা চৌধুরী এবং গুলশন গব্বর। শহরের ২৮টি পুজো কমিটি কার্নিভালে অংশগ্রহণ করে। দর্শকদের সামনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা তুলে ধরে। বড়নীলপুর মোড় থেকে স্টেশন পর্যন্ত  শোভাযাত্রা চলে। কার্জন গেটে মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কার্জন গেট চত্বর আলপনায় সাজিয়ে তোলা হয়। শহরে যান চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মঞ্চে উপস্থিত থেকে শোভাযাত্রা চাক্ষুষ করেন জেলাশাসক আয়েষা রানি এ, পুলিস সুপার সায়ক দাস সহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা। পিছিয়ে ছিল না আসানসোল এবং দুর্গাপুর। দুই শহরের বিগ বাজেটের পুজো কমিটিগুলিও কার্নিভালে অংশগ্রহণ করে। 


    বর্ধমানে দুই বলিউড তারকাকে দেখার জন্য শহরবাসীর উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। বড়নীলপুর মোড়ের কাছে কার্নিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও এই দুই তারকা অংশগ্রহণ করেন। কর্নিভাল শুরু হতেই রাস্তার দু’পাশে কার্যত জনজোয়ার নামে। বিভিন্ন থিমে সাজানো ট্রাকগুলি বড়নীলপুরের রাস্তা থেকে কার্জন গেটের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। আলোকসজ্জা, ঢাকের আওয়াজ আর বাজনায় পাল্টে যায় বর্ধমান শহর। 


    আসানসোল ও দুর্গাপুরের পুজো কার্নিভাল ঘিরে মাতোয়ারা শিল্পাঞ্চল। আসানসোলের পুজো কার্নিভালে সবচেয়ে বড় চমক ছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের নাচ। নিত্যশিল্পীদের নিয়ে মহিষাসুরমর্দিনী প্রদর্শন করেন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় ওই নায়িকা। দুর্গাপুরের পুজো কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত। আসানসোলের পুজো কার্নিভালের ১৫টি বড় পুজো কমিটি সুযোগ পায়। দুর্গাপুরে ১৪টি বড় পুজো কমিটি কার্নিভালে অংশ নেয়। কার্নিভাল উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষের উৎসাহ নজরে পড়ে। 


    আসানসোলের ভগৎ সিং মোড় থেকে কোর্ট মোড় পর্যন্ত রাস্তা সাজিয়ে তোলা হয়। পুজো কমিটিগুলির বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আগে বাংলার নানা  লোকসংস্কৃতি তুলে ধরা হয়। মহিলা ঢাকিদের কসরত দেখা যায়। রায়বেঁশে নৃত্য, ছৌনৃত্য ও আদিবাসী নাচ চলে। তারপরই ঋতুপর্ণা নৃত্য পরিবেশন করেন, যা মানুষের আবেগকে তুঙ্গে তোলে। মঞ্চে  ঋতুপর্ণার হাতে দুর্গা প্রতিমা তুলে দেন এলাকার তারকা সংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। কার্নিভালে ছিলেন শ্রম ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, জেলাশাসক পোন্নমবলম এস, পুলিস কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী। ট্রেলারের উপর থাকা প্রতিমার সামনে কখনও ধুনুচি নাচ কখনও আবার পুতুল নাচ দেখানো হয়। একের পর এক পুজো কমিটি চমক দিতে থাকে। সেরা পুজো কমিটি বাছতে তিন সদস্যের বিচারকমণ্ডলী ছিলেন। অন্যতম বিচারক ছিলেন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী সৌমাত্মানন্দ। দুর্গাপুরের কার্নিভাল এবার তৃতীয় বর্ষে পা দিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রশংসা করনে অনেকে। কার্নিভালে উপস্থিত ছিলেন এডিডিএ চেয়ারম্যান কবি দত্ত, পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ বিশিষ্টরা।  রায়ান পাঠাগারের দুর্গাপুজোর প্রতিমা ভাসানের আগে সিঁদুর খেলার পর সেলফি। নিজস্ব চিত্র 
  • Link to this news (বর্তমান)