• দাবা, সেরা রাঁধুনি সহ নানা চমকের অনুষ্ঠান নজর কাড়ল আরামবাগের যুবক গোষ্ঠী
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: দুর্গাপুজোয় দাবা, সেরা রাঁধুনি সহ নানা চমকের অনুষ্ঠান করে নজর কাড়ল যুবক গোষ্ঠী ক্লাব। আরামবাগের ব্লক পাড়ায় এই ক্লাবের পুজো এবার ৫১ বছর পার করল। ষষ্ঠীতে পুজোর উদ্বোধন করেন জয়রামবাটি শ্রীরামকৃষ্ণ সারদা মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ শিবরূপানন্দ মহারাজ। ষষ্ঠী থেকেই নানা প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই ক্লাব। ওইদিন আরামবাগ চেস অ্যাকাডেমির সাহায্যে দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আরামবাগের রবীন্দ্রভবনে সেই অনুষ্ঠানগুলি হয়। পুজো কমিটি ও ক্লাবের সভাপতি রাজেশ চৌধুরী এবং আবেদ আলি বলেন, এবারই প্রথম আমরা আন্তঃরাজ্য দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিলাম। তাতে ভালো সাড়াও পাওয়া যায়। বর্ধমান, হুগলি সহ ভিনজেলার প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। খেলা দেখতে স্থানীয় বাসিন্দারাও ভিড় জমান। রবিবার পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। তার আগে মহিলারা সিঁদুর খেলায় মাতেন।


    ক্লাবের সম্পাদক অমিতকুমার চন্দ্র বলেন, সুষ্ঠুভাবেই সম্পন্ন হয়েছে এবারের পুজো। প্রতিদিন অগণিত দর্শনার্থী আমাদের পুজো মণ্ডপ ও প্রতিমা দর্শন করেছেন। 


    ক্লাবের এক কার্যকরী সভাপতি পবিত্র বাগ বলেন, আমরা এবার সিধু কানুর জীবন দর্শনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুজো মণ্ডপ তৈরি করেছিলাম। পুজোয় নানা অনুষ্ঠানে জোর দিয়েছি। সেইমতো দাবা, সেরা রাঁধুনি ও ব্লক পাড়া দিদি নম্বর ওয়ান প্রতিযোগিতা ছিল বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রে। তাতে এলাকার বাসিন্দারা অংশ নিয়ে আনন্দ পেয়েছেন। পুজোর মধ্যেই ১৬৫জন প্রতিযোগীকে পুরস্কার ও শংসাপত্র দিতে পেরে আমরাও আনন্দিত। 


    উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, সেরা রাঁধুনি প্রতিযোগিতায় রান্না করা ভেজ, ননভেজ ও মিষ্টি জাতীয় খাবার রেঁধে আনেন মহিলারা। প্রতিযোগিতাটি পরিচালনা করেন ঋতুপর্ণা দত্ত। এছাড়া জনপ্রিয় টিভি প্রতিযোগিতার আদলে ব্লক পাড়া দিদি নম্বর ওয়ান প্রতিযোগিতার পরিচালনা করেন ক্লাব সদস্যা মৈথিলী ভট্টাচাৰ্য। সেই প্রতিযোগিতায় ১০ বছর পর্যন্ত বয়সি বালিকারা অংশ নেয়। তাতে ক্যুইজ সহ খেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও প্রদীপ জ্বালানো, শঙ্খ বাদন প্রতিযোগিতাতেও বহু প্রতিযোগী অংশ নেন। 


    এই ক্লাবের পুজো পরিচালনায় কার্যকরী সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন চিকিৎসক সৌরিশ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটা আমাদের আবেগের পুজো। সকলেই খুব আনন্দ করেছি।


    ক্লাবের সহ সভাপতি সুরেশ গোস্বামী বলেন, আমাদের পুজোয় কচিকাঁচাদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে বেশি ছিল। তাদের জন্য সঙ্গীত, আবৃত্তি ও নৃত্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। আগামী বছরের আরও বেশি অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা রেখেছি।


    ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ লক্ষ্মীকান্ত বাগ বলেন, এবার পুজোয় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা বাজেট ধরা হয়। ক্লাবের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দাদের সহযোগিতায় এবারের পুজো সফল হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)