• মুর্শিদাবাদে কার্নিভাল ঘিরে ব্যাপক উন্মাদনা 
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: পুজো উন্মাদনার রেশ দেখা গেল কার্নিভালেও। সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ওয়াইএমএ ময়দানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, পুলিস সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব, মন্ত্রী আখরুজ্জামান, সাংসদ আবু তাহের খান ও খলিলুর রহমান সহ সমস্ত বিধায়ক ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ১৪টি পুজো উদ্যোক্তা বিসর্জনের এই বিশেষ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। ধামসা মাদলের বোলে আদিবাসী নৃত্য শুরু থেকেই এই কার্নিভালের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। বহরমপুর শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বহু সাধারণ মানুষ ওয়াইএমএ’র মাঠে কার্নিভাল দেখতে ভিড় জমান। উমার বিদায় বেলায় শেষ মুহূর্তের আনন্দটুকু চেটেপুটে উপভোগ করতে থাকেন দর্শকেরা। এবার কার্নিভালে সেরা শোভাযাত্রা করার জন্য তিনটি পুজো কমিটিকে বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হবে। 


    মন্ত্রী আখরুজ্জামান সাহেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুজোকে গোটা বিশ্বের কাছে এক অনন্য বিষ্ময় হিসেবে তুলে ধরেছেন। এই কার্নিভাল তারই একটি অংশ। জেলা প্রশাসন খুব সুন্দরভাবে এটি আয়োজন করেছে। আমরা সকলে কার্নিভালের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। 


    সংসদ আবু তাহের সাহেব বলেন, জেলা পুলিস ও প্রশাসনের তরফে এই আয়োজন অত্যন্ত সফল হয়েছে। উৎসবের সঙ্গে আমরা এই কটা দিন সকলেই মেতে ছিলাম। এই কার্নিভালের মাধ্যমে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। মঙ্গলবার রেড রোডে কলকাতায় কার্নিভালে অংশ নেবেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে প্রতিটি জেলায় জাঁকজমকভাবে কার্নিভাল হচ্ছে। 


    সাংসদ খলিলুর সাহেব বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা হচ্ছে সম্প্রীতির জেলা। এখানে আমরা সমস্ত উৎসব সর্বধর্ম সমন্বয়ে উদযাপন করি। দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের আগে শোভাযাত্রার মাধ্যমে নদীর ঘাটে যাচ্ছে। আমরা সকলেই মা দুর্গাকে বিদায় জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সারা বছর যাতে সকলে সুখ-শান্তিতে থাকতে পারি সেই কামনা করছি। 


    এদিন কার্নিভাল শেষে ভাগীরথীর কে এন কলেজ ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করা হয়। কার্নিভালে অংশ নেওয়া প্রতিমা ছাড়াও এদিন সকাল থেকে গঙ্গা ও ভাগীরথীর বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। রবিবার থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিমা নিরঞ্জন চলছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ পুলিস জেলায় ৩৩৭৮টি বারোয়ারি পুজোর আয়োজন হয়। যার মধ্যে সোমবার সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত মোট ২৫৪৮টি পুজোর প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়েছে। প্রতিটি ঘাটে জেলা পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা হাজির ছিলেন।


    জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, প্রতিটি জায়গায় যাতে সুষ্ঠভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়, সেই দিকে আমরা খেয়াল রেখেছি। বেলডাঙা, রেজিনগর, শক্তিপুর ও সালারের দিকে বেশ কিছু জায়গায় প্রতিমা নিরঞ্জন নিয়ে সমস্যা হয়। সেই জন্য ওইসব এলাকায় বাড়তি পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)