জেলা হাসপাতালে বন্ধ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে সচল থাকল আউটডোর
বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: সিনিয়র ডাক্তারদের বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চের রাজ্যজুড়ে ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে সাড়া দিলেন না উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তাররা। ফলে সোমবার শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল সহ বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বন্ধ থাকলেও উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের আউটডোর পরিষেবা সচল ছিল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আউটডোরে ২৩০০’রও বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছে।
তবে আউটডোর খোলা থাকলেও রোগী হয়রানি কিছুক্ষেত্রে অব্যাহত ছিল। পুজোর কয়েকদিন সেভাবে কেউই প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালমুখো হননি। উৎসব মিটতেই এদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে রোগীরা এসেছিলেন ডাক্তার দেখাতে। পেডিয়াট্রিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন আউটডোরে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন রোগীরা। সকাল সাড়ে ১০টার পর আউটডোরে একে একে পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তারা আসতে থাকেন। যদিও সাইক্রিয়াটিক আউটডোর এদিন পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ফলে রোগীরা সমস্যায় পড়েন। চোপড়া থেকে এসেছিলেন তাজিমুদ্দিন। মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ের ওষুধ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এদিন ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিতে এসেছিলেন। আউটডোরে টিকিট কেটে সাইক্রিয়াটিক ওপিডিতে এসে দেখেন বন্ধ। তাজিমউদ্দিন বলেন, জনে জনে জিজ্ঞেস করে জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা করি ডাক্তারবাবুদের সঙ্গে। সেখানকার ডাক্তাররা মেয়ের ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেননি। কয়েকজনের পরামর্শে অবশেষে সুপারের দ্বারস্থ হই। সুপার ওষুধ দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন। অন্যদিকে, এদিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে আউটডোর পুরোপুরি বন্ধ ছিল। সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বহু রোগী বন্ধ টিকিট কাউন্টারের সামনে অপেক্ষায় থেকেছেন। অবশেষে অনেকেই ফিরে যান। আবার কেউ কেউ জরুরি বিভাগে লাইন দেন ডাক্তার দেখাতে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পিজিটি ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ আউটডোরে কাজে অংশ দেওয়ায় সিনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র ডাক্তাররা অনশন মঞ্চের সামনেই এনিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদেরও প্রশ্ন, কেন এদিন আউটডোর খোলা থাকল। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডাঃ কৌস্তভ চক্রবর্তী বলেন, সিনিয়র ডাক্তারদের বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চ এদিন সকাল ৬টা থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টার সরকারি, বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। এর সঙ্গে আমাদের পিজিটি বা জুনিয়র ডাক্তারদের কোনও যোগ ছিল না। সেই কারণেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের মতো কলকাতাতেও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর এদিন সচল ছিল। এনিয়ে বিতর্কের কিছু দেখছি না আমরা।