• লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মী এসেছে কালোনুনিয়া চালে, দুরামারীতে এবার প্রস্তুতি তুঙ্গে
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মী এনেছে কালোনুনিয়া চালে। তাই জোরকদমে লক্ষ্মীপুজোর প্রস্তুতি চলছে ডুয়ার্সের দুরামারীতে। অভাব-অনটনের হাত থেকে বাঁচতে একটা সময় সর্বজনীন লক্ষ্মীপুজো শুরু হলেও বর্তমানে ডুয়ার্সের দুরামারী ও ড্যাংকালীতে মায়ের চেয়ে মেয়ের কদরেই বেশি। স্থানীয় বাসিন্দারা সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন লক্ষ্মীপুজোর জন্য। আর এই লক্ষ্মীর আশীর্বাদেই  এলাকার কালোনুনিয়া চালে জিআই স্বীকৃতি মিলেছে বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের।‌ 


    দুরামারী বাজারের চারপাশের এক থেকে তিন কিমি এলাকার মধ্যে বড় ৩১টি বিভিন্ন ক্লাব সহ রয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট ক্লাব লক্ষ্মীপুজো করে। শহরের পুজোর মতো এখানেও পুজো কমিটিগুলির মধ্যে লক্ষ্মীপুজোর মণ্ডপ ও আলোকসজ্জা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। আগামী বুধবার লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষে দুরামারী মেলা কমিটির উদ্যোগে বাজারের মাঠে দু’দিন পর লক্ষ্মী দশমী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এবার ৪৭ তম বর্ষ। মেলা উপলক্ষে  বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিমা এখানে নিয়ে এসে তারপর বিসর্জন দেওয়া হবে‌। এছাড়াও থাকছে তিনদিনব্যাপী বিরাট মেলার। সর্বজনীন প্রতিমাগুলির বিসর্জন হলেও গৃহস্থের অনেকেই প্রতিমা প্রদর্শনী করে তা বাড়িতে রেখে সারা বছর পুজো করেন। 


    মেলা ও মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা ও আলোকসজ্জা দেখতে বানারহাট, নাগরাকাটা, নাথুয়াহাট সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা আসেন। দল বেঁধে আসেন মোঘলকাটা, তোতাপাড়া, গয়েরকাটা সহ আশপাশের বিভিন্ন চা বাগানের শ্রমিক ও বনবস্তির বাসিন্দারা। তবে লক্ষ্মী এখানে একা আসেন না। সঙ্গে থাকেন জয়া-বিজয়া নামে দুই সখী। দুরামারী মেলা কমিটির সম্পাদক চন্দন রায় বলেন, একটা সময় এই এলাকার মানুষের অভাব অনটনে দিন কাটত। তার থেকে বাঁচতে শুরু হয় লক্ষ্মীর আরাধনা। লক্ষ্মীর কৃপায় এখন এলাকার পরিবেশ শস্য-শ্যামলা। এই শস্য-শ্যামলা বিষয়টি মানছেন এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি নরেশ রায় ও মধুসূদন গুহ। তাঁরা বলেন, লক্ষ্মীর আশীর্বাদেই তো গতবছর কালোনুনিয়া চালে জিআই স্বীকৃতি মিলেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর জলপাইগুড়ির কালোনুনিয়া চালে মিলছে জিআই স্বীকৃতি। জলপাইগুড়ি জেলার ১৪৫০ হেক্টর জমিতে কালোনুনিয়া চাষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়ে থাকে ধূপগুড়ি ব্লকের দুরামারীতেই। 
  • Link to this news (বর্তমান)