সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি ও দেওয়ানহাট: টিকিট কাউন্টারে তো বটেই হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতেও রোগীর লম্বা লাইন। অন্যদিকে, হাসপাতাল ভবনের প্রবেশ পথের পাশে অভয়া কাণ্ডের সুবিচার এবং একাধিক দাবিতে প্রতীকী অনশন আন্দোলনে চিকিৎসকদের একাংশ। পুজোর পর প্রথম কর্মদিবসেই এমনই চিত্র জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। প্রয়োজন অনুসারে হাসপাতালে চিকিৎসকের সংখ্যা কম থাকায় পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন রোগীদের অনেকেই। যদিও আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি, হাসপাতালের জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল।
অন্যদিকে, কলকাতায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতির জেরে সোমবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। যদিও স্বাভাবিক ছিল ইমার্জেন্সি। সকাল ১১টা থেকে কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে চিকিৎসকরা অবস্থানে বসেন। ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা আউটডোরে চিকিৎসা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ক্ষুব্ধ রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, আগে থেকে না জানিয়ে চিকিৎসকরা আউটডোর বন্ধ রাখায় তাঁরা দুর্ভোগে পড়লেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত চিকিৎসক বিনায়ক রায় বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা যে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছেন তাঁদের সমর্থনে আমরা ৪৮ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করছি। চেম্বার, আউটডোর বন্ধ রেখেছি। ইমার্জেন্সি খোলা আছে। তবে পূর্বঘোষিত অপারেশন বন্ধ রেখেছি। এতে সাধারণ মানুষের কিছু অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই তবে আমাদের দাবিও ন্যায়সঙ্গত।