নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: সুষ্ঠুভাবে নিরঞ্জনের জন্য গত শনিবার থেকেই হাওড়া পুরসভা এলাকা ও হাওড়া কমিশনারেটের আওতাধীন গঙ্গার সব ঘাটে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন। শনি ও রবিবার শহরের বেশিরভাগ বাড়ি ও বারোয়ারি পুজোর ভাসান হয়। সোমবার কার্নিভালের মধ্যেই বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি ঘাটগুলিতে ভাসানের জন্য প্রতিমা নিয়ে ভিড় করে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন ঘাটে অতিরিক্ত পুলিস মোতায়েনের পাশাপাশি জলপথেও চলে নজরদারি।
হাওড়া পুরসভা এলাকার মোট দশটি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। তবে শিবপুর ঘাট, রামকৃষ্ণপুর ঘাট এবং ছাতুবাবুর ঘাটে প্রায় ৮৫ শতাংশ প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। মহালয়ার পর ঘাটগুলি সংস্কারের পাশাপাশি সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করেছিল পুরসভা। গত শনিবার থেকে বাড়ির প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হয়। রবিবার ছোট-বড় বেশিরভাগ প্রতিমা ভাসান হলেও বিগ বাজেটের বেশ কয়েকটি পুজো কমিটি সোমবার নিরঞ্জন সম্পন্ন করে। হাওড়া পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দূষণ রুখতে মূল তিনটি ঘাটে প্রায় ১৫০ জন অস্থায়ী কর্মীকে রাখা হয়েছিল। বিসর্জন চলাকালীন প্লাস্টিক জাতীয় কোনও জিনিস যাতে ঘাটের আশপাশে পড়ে না থাকে, সেজন্য নিয়মিত ঘাট পরিষ্কারের কাজ করেন তাঁরা। প্রতিমা জলে ভাসানোর সঙ্গে সঙ্গেই লং বুম মেশিনের সাহায্যে কাঠামোগুলিকে তুলে নিয়ে এসে ঘাটে রাখা হয়। কাঠামো সরানোর কাজে ব্যবহৃত হয়েছে কয়েকটি জেসিবি মেশিনও।
হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী বলেন, ‘শিবপুর ঘাটের বেশ কিছু অংশ আগেই সংস্কার করা হয়েছিল। তাও প্রতিটি ঘাটে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে কেউ বিসর্জনের সময় বিপজ্জনক জায়গায় চলে না যান।’ পাশাপাশি, ঘাটগুলিতে নজরদারি ও নিরাপত্তার জন্য প্রায় দুই হাজার পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘বিসর্জন দেখতে যে দর্শনার্থীরা এসেছিলেন, তাঁদের সাহায্যের জন্য সাদা পোশাকের পুলিসও রাখা হয়েছিল। সব মিলিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে বিসর্জন প্রক্রিয়া মিটেছে।’