• সুষ্ঠুভাবে চলল নিরঞ্জন, তিনদিনে ঘাটে জড়ো ২৮০০ টন কাঠামো
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: শহরের ১৬টি গঙ্গার ঘাট সহ বিভিন্ন পুকুর, ঝিল, জলাশয়ে নির্বিঘ্নেই চলল প্রতিমা নিরঞ্জন। শনিবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন বাড়ির পুজো থেকে শুরু করে কয়েকটি পুজো কমিটি প্রতিমা বিসর্জন সেরে ফেলে। সরকারি হিসেব বলছে, শনিবার থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত সুষ্ঠুভাবে তিন হাজারের বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন ঘাটে। ঘাটগুলিতে যাবতীয় দায়িত্ব সামলেছে কলকাতা পুরসভা। রয়েছে পর্যাপ্ত পুলিস। পুরসভার হিসেব বলছে, এই ভাসান পর্বে সোমবার বিকেল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৮০০ টন কাঠামো সংগ্রহ করা হয়েছে।


    এবার বিসর্জনে অভিনব ব্যবস্থা নিয়েছিল কেন্দুয়া শান্তি সঙ্ঘ ও টালা প্রত্যয়। সোমবার রাতে বিধি মেনেই তারা পুজো প্রাঙ্গণে মাতৃ মূর্তি নিরঞ্জন করে। একারণে তৈরি করা হয়েছিল কৃত্রিম জলাশয়। তবে বাকি প্রতিমা প্রথা মেনেই নিরঞ্জন হয়েছে গঙ্গা, বিভিন্ন পুকুর বা ঝিলে। শনিবার কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ও দেবব্রত মজুমদার দফায় দফায় গঙ্গার বিভিন্ন ঘাট ঘুরে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন পুর কমিশনার। তাঁরা রাত পর্যন্ত ঘাটে ছিলেন। বিসর্জনের কারণে যাতে গঙ্গা দূষণ না হয়, তাই আগে থেকেই প্রতিমার ফুল, বেলপাতা সহ বিভিন্ন সাজ-সরঞ্জাম আলাদা করা হয়। প্রতিমা জলে পড়া মাত্রই ক্রেন দিয়ে সেই কাঠামো তুলে ঘাটে জমা করা হয়েছে। তারপর নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র। পুরসভা সূত্রে খবর, শনিবার থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন লরি, ডাম্পার মিলিয়ে ৩৯৪টি ট্রিপে প্রায় ২৮০০ টন কাঠামো গঙ্গা থেকে তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার সব প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গেলে এর পরিমাণ ৩২০০ টন ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা। 


    জাজেস ঘাট, দই ঘাট, বিচালি ঘাট, বাজেকদমতলা ঘাট, রানি রাসমণি ঘাট, নিমতলা ঘাট, জগন্নাথ ঘাট, আহিরিটোলা ঘাট, শোভাবাজার ঘাট, মায়ের ঘাট, নারকলেবাগান ঘাট, কুমারটুলি ঘাট, বাগবাজার ঘাট, কাশীপুরের বিলার জং ঘাট, সর্বমঙ্গলা ঘাট, রতনবাবুর ঘাট— কলকাতার এই ১৬টি ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে। এর মধ্যে বড় তিনটি ঘাট জাজেস, বাজেকদমতলা, ও নিমতলায় ক্রেন রাখা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)