• খিদিরপুরের ব্যাঙ্কে জাল নথি জমা দিয়ে ঋণ, গায়েব ৮৪ লক্ষ
    বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ঋণ দিতে গিয়ে প্রতারণা ও জালিয়াতির শিকার হল খিদিরপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। সব মিলিয়ে ব্যাঙ্কের প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার স্থানীয় ওয়াটগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। যার ভিত্তিতে প্রতারণা, জালিয়াতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিস। তবে এখনও পুলিস কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে।   


    ঘটনার সূত্রপাত ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে। ওয়াটগঞ্জ থানার ৪৯ নম্বর কবিতীর্থ সরণির ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ১৫ থেকে ১৬ জন গ্রাহক পার্সোনাল ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের পরিমাণ প্রায় ৮৪ লক্ষ টাকা। কিন্তু ঋণ নেওয়ার পর গ্রাহকরা কিস্তির টাকা মেটাননি বলে অভিযোগ। 


    তখনই টনক নড়ে ব্যাঙ্কের। অভ্যন্তরীণ তদন্তে নেমে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, একাধিক জাল নথি পেশ করে গ্রাহকরা ঋণ নিয়েছে। নথিপত্র দেখে ব্যাঙ্কের তদন্তকারীদের মনে হয়েছে, এর নেপথ্যে একটি অপরাধ চক্র রয়েছে। বাধ্য হয়ে ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার প্রায় দু’বছর বাদে ওয়াটগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। 


    অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিস। কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, আর পাঁচটা সাধারণ ঋণখেলাপির মতো বিষয় নয় এটি। এর নেপথ্যে অপরাধ চক্র রয়েছে। তা না হলে, এত নিঁখুত কায়দায় একইভাবে এতগুলি জাল নথি তৈরি করে ব্যাঙ্ককে বোকা বানানো সম্ভব নয়। 


    প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিসের ধারণা, এই চক্রের নেপথ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কোনও কর্মীর যোগসাজস থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কলকাতা পুলিসের ডিসি (পোর্ট) হরিকৃষ্ণ পাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, খোঁজ নিয়ে বলতে পারব। 
  • Link to this news (বর্তমান)