গত বছরের তুলনায় ৯২ শতাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত কম, স্বস্তি উৎসবের মরশুমে
বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: চলতি বছর ডেঙ্গুর পাশাপাশি ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে শহরে। এদিকে, পুজোয় সমস্ত রকমের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করেছিল কলকাতা পুরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজে পুজো কমিটিগুলিকেও এ নিয়ে প্রচার করার আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে, সব আশঙ্কাকে দূরে সরিয়ে চলতি বছর পুজোর মাসের শুরু পর্যন্ত শহরে গতবারের তুলনায় প্রায় ৯২ শতাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত কম। ম্যালেরিয়াও কমেছে প্রায় ৪১ শতাংশ। চলতি বছর এই তথ্য স্বস্তি দিচ্ছে কলকাতা পুর প্রশাসনকে।
তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এই সময়কালে (১ জানুয়ারি থেকে ৬ অক্টোবর) শহরে ৭৪২২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছর এই সময়ে সংখ্যাটা মাত্র ৫৮৯ জন। অর্থাৎ প্রায় ৯২ শতাংশ সংক্রমণ কম। অন্যদিকে, গত বছর ১ জানুয়ারি থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭২২২ জন। চলতি বছর ওই সময়কালে ৪২৬২ জন ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হয়েছেন শহরে, শতাংশের বিচারে যা প্রায় ৪১ শতাংশ কম। এ বছর শহরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোনও খবর আপাতত জানায়নি পুরসভা। ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর ম্যালেরিয়ার তুলনায় ডেঙ্গু নিয়ে পুরকর্তারা স্বস্তিতে। ডেঙ্গু এবার তলানিতে ঠেকলেও ম্যালেরিয়া তুলনায় বেশি কেন? এই প্রসঙ্গে পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ ডঃ দেবাশিস বিশ্বাস বলেন, বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে দেখা গিয়েছে, মিষ্টি কিংবা নোনা জলের তুলনায় বৃষ্টির জলে ম্যালেরিয়ার মশা বেশি জন্মায়। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত শহরে প্রায় ৭০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুধু মে মাসেই ৫০৪ মিলিমিটার রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে শহরে। স্বাভাবিকভাবে তাই ম্যালেরিয়া সংক্রমণ খানিকটা বেশি।
অন্যদিকে, ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া নিয়ে বছরভর নজরদারি করা হয়েছে বলে দাবি পুরসভার। অন্যান্য বছর বহুতলগুলিতে বেশি মাত্রায় ডেঙ্গু বা ম্যালেরিয়া আক্রান্তের খোঁজ মেলে। এ বছর এই ধরনের আবাসনগুলির জন্য মহিলা কর্মীদের বিশেষ দলকে ব্যবহার করছে পুরসভা। মহিলারা সেইসব অঞ্চলে গিয়ে লাগাতার প্রচার করছেন এবং আবাসনের ভিতরে ভেক্টর কন্ট্রোলের (মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ) কর্মীদের ঢুকতে দেওয়ার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন। তার ফলে ওই সমস্ত আবাসনে কোথাও জল জমে থাকলে সেটা ধরা পড়ছে এবং সেই মতো পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।