২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রানিগঞ্জ থানা এলাকায় একটি গয়নার দোকানের মালিকের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ডাকাতেরা। ডাকাতি ঠেকাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় ডাকাতদের। পরে ঘটনাস্থল থেকে চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই ডাকাতির তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পারে, বিহারের জেলে বন্দি দুষ্কৃতী সুবোধ সিংহ ডাকাতির মূল চক্রী। জেলে বসেই ডাকাতির ‘নেটওয়ার্ক’ নিয়ন্ত্রণ করে সে। ডাকাতদলের সাত জনকে অস্ত্র দেওয়া হয়েছিল সুবোধের নির্দেশে।
সিআইডি জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকেই বিহারের জেলে বন্দি ছিল সুবোধ। গত জুন মাসের শেষে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সিআইডির বিশেষ দল বিহার থেকে এ রাজ্যে নিয়ে আসে সুবোধকে। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, রানিগঞ্জের ওই ডাকাতির চেষ্টা ছাড়াও হীরাপুরে সিআইডির অন্য একটি মামলায় অভিযুক্ত সুবোধ। এ ছাড়া ব্যরাকপুর কমিশনারেট এলাকায় ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুনের চেষ্টা, তোলাবাজির মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তবে সিআইডির একাংশের দাবি, রানিগঞ্জের ওই মামলায় সুবোধের বিরুদ্ধে একাধিক প্রমাণ রয়েছে। তাই তার ছাড়া পাওয়া কঠিন। সে ক্ষেত্রে সুবোধ এবং তার শাগরেদদের জেলে রেখেই বিচারের নির্দেশ পাওয়া যাবে বলেই আশাবাদী তদন্তকারীরা।