মঙ্গলবার সকালে মেট্রোর তরফে বিভিন্ন স্টেশনে ঘোষণা করা হয়, যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরীশ পার্ক পর্যন্ত পরিষেবা আপাতত বন্ধ রয়েছে। কখন মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হবে, সেই বিষয়ে অবশ্য স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি তখনও। শুধু বলা হয়েছিল, পরিষেবা স্বাভাবিক হলে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, দমদম এবং নোয়াপাড়া স্টেশনের মাঝে ৭৫০ ভোল্ট বিদ্যুৎ না থাকার কারণেই মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মেট্রোর জন্য যাত্রীরা যখন অপেক্ষমাণ, সেই সময়েই গিরীশ পার্ক স্টেশনে ঘোষণা করা হয়, “দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ যাওয়ার গাড়ি পর পর বেলগাছিয়া এবং রবীন্দ্র সদন স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে।” কিন্তু এই ঘোষণার দ্বারা কী বোঝাতে চাওয়া হয়েছে, যাত্রীদের কাছে তা স্পষ্ট নয়। বরং এতে আরও বিভ্রান্তি বেড়েছে বলেই জানাচ্ছেন যাত্রীরা। মেট্রো সূত্রে খবর, সকাল ৯টা ৫০ নাগাদ পরিষেবা স্বাভাবিক হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুরে সেন্ট্রাল এবং দমদম স্টেশনের মধ্যে প্রায় আধ ঘণ্টা মেট্রো পরিষেবা বন্ধ ছিল। দুপুর পৌনে ১২টা নাগাদ শোভাবাজার-সুতানুটি স্টেশনে এক ব্যক্তি মেট্রোলাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে উদ্ধার করতে লাইনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। দুপুর ১২টা ১৮ পর্যন্ত সেন্ট্রাল এবং দমদম স্টেশনের মধ্যে মেট্রো পরিষেবা বন্ধ থাকে। এর ফলে পুজোর ছুটির পরে প্রথম কাজের দিনেই সমস্যার মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। সোমবারের পর মঙ্গলবারও মেট্রো-বিভ্রাটের জেরে ভোগান্তি বাড়ল যাত্রীদের।