শহরের ৯০টির বেশি পুজো কমিটি এ বার কার্নিভালে অংশগ্রহণ করবে। বিকেল সাড়ে চারটে থেকে কার্নিভাল শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, চার ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রেড রোডে এই কার্নিভাল চলবে। যদিও তার প্রায় দু’ঘণ্টা আগেই, অর্থাৎ দুপুর ২টো থেকে মধ্য কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে লালবাজার জানিয়েছে। দুপুর দুটো থেকে কার্নিভাল শেষ হওয়া পর্যন্ত, প্রায় ঘণ্টা ছয়েক ধরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই সময়ের মধ্যে রেড রোড, কুইন’স ওয়ে, লাভার্স লেন, পলাশি গেট এবং এসপ্লানেড র্যাম্প বন্ধ রাখা হবে। এ ছাড়া সকালের দিকে এই রাস্তাগুলিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে। এ দিন দুপুর দুটো থেকে উত্তরমুখী হসপিটাল রোডেও বিসর্জনের গাড়ি ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হবে। বিধিনিষেধ থাকবে খিদিরপুর রোড, ডাফরিন রোডেও।
পুলিশ সূত্রের খবর, রেড রোড সংলগ্ন রাস্তায় গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রেও একাধিক বিধিনিষেধ থাকছে এ দিন। বেলা বারোটা থেকে মেয়ো রোড, আর এন মুখার্জি রোড, হেয়ার স্ট্রিট, ক্যাথিড্রাল রোড, জওহরলাল নেহরু রোড, কুইন’স ওয়ে, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট-সহ একাধিক রাস্তায় সমস্ত ধরনের পার্কিং বন্ধ রাখা হবে। কার্নিভাল দেখতে আসা দর্শকদের গাড়ি রাখতে ময়দান সংলগ্ন এলাকায় বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। লালবাজারের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কার্নিভাল দেখতে যে সব দর্শক হেঁটে ধর্মতলা বা খিদিরপুর থেকে রেড রোডে আসবেন, তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট রাস্তা থাকছে। পুলিশি নির্দেশিকায় তাঁদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, এ জে সি বসু রোড, চৌরঙ্গি রোড, মেয়ো রোড, খিদিরপুর রোড বা আর আর অ্যাভিনিউ ব্যবহার করতে।
পুজোর ছুটি কাটিয়ে সোমবার থেকে শহরের একাধিক প্রতিষ্ঠানে পুরোদমে কাজকর্ম শুরু হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যায় পথে অফিসফেরত মানুষের ভিড় এবং গাড়ির চাপও দেখা যাচ্ছে। ফলে আজ, মঙ্গলবারও গাড়ির চাপ থাকলে পথের ভোগান্তি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও অতিরিক্ত পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর আশ্বাস দিচ্ছে লালবাজার।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো কার্নিভালকে কেন্দ্র করে রেড রোড এবং সংলগ্ন রাস্তায় প্রায় দু’হাজার অতিরিক্ত পুলিশকর্মী থাকবেন। যে যে পথে গাড়ির চাপ বাড়তে পারে, সেখানেও সকাল থেকে পর্যাপ্ত ট্র্যাফিক পুলিশের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। লালবাজারের এক কর্তার আশ্বাস, ‘‘প্রতি বারই দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামলানো হয়। এ বারও সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’