এই সময়: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবার সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের সমর্থনে হাততালি দেওয়ার অভিযোগে ধৃত দুই তরুণীকে পুলিশ হেফাজতে মারধরের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশ কার্যকরী করার ক্ষেত্রে আপাতত সিবিআইকে বিরত করল ডিভিশন বেঞ্চ।সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নেতৃত্বাধীন পূজাবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত মামলা নথিভুক্ত করতে পারবে না সিবিআই। ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশও কার্যকরী করা যাবে না। সিবিআই জানায়, তারা কোনও মামলা বা এফআইআর দায়ের করেনি, প্রক্রিয়া চলছে।
ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, পুজোর ছুটির পর হাইকোর্ট খুললে আগামী ৪ নভেম্বর রেগুলার বেঞ্চে হবে শুনানি। বিচারপতি বলেন, যেহেতু এখানে অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে এবং তারা সরকারি কর্মী তাই তাঁরা পালিয়ে যাবেন না। তাই আর নতুন কোনও নির্দেশ এখনই দিচ্ছে না আদালত।
অভিযোগ, আরজি করের ঘটনার পরে আন্দোলনের মধ্যে থেকে বিজেপি সমর্থক এক জন ক্যামেরার সামনে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। পাশে থাকা দুই তরুণী সে সময়ে হাততালি দিয়ে ওই কথা সমর্থন করেন। ওই কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর দুই তরুণীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগ, তাঁদের দু’জনকে ডায়মন্ড হারবার মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই থানার লক-আপে পুলিশ তাঁদের বেধড়ক মারধর করে। তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হয়। এর পরেই ওই দু’জন মামলা করেন হাইকোর্টে। দীর্ঘ শুনানির পরে বিচারপতি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ লক-আপে মারধরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য।
অন্য দিকে, আগরপাড়া জুটমিলের জমি পুলিশের মদতে দখল ও সম্পত্তি লুটের চেষ্টার অভিযোগে যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজেরই সিঙ্গল বেঞ্চ, তাতেও এ দিন হস্তক্ষেপ করে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত পুলিশের হাত থেকে মামলার নথি নিতে নিষেধ করা হয়েছে সিবিআইকে।