• সব কাজ ফেলে এ সময়ে লক্ষ্মী সরা আঁকেন তাঁরা, কিন্তু তাতে লক্ষ্মীলাভ হয় কি?
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • বিশ্বজিৎ মিত্র: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ! তেমন লক্ষ্মীপুজোও একটি পার্বণ। সদ্য গেল দুর্গাপুজো। এবার মা লক্ষ্মীর আরাধনা। ঘরের মেয়ে কৈলাসে ফিরে যাওয়ার পরে বাঙালির দুঃখ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই হাজির হয় লক্ষ্মীপুজো। মায়ের অনুপস্থিতির দুঃখ ভুলিয়ে দেন মেয়ে। লক্ষ্মীপুজো মূলত দুই ধরনের হয়ে থাকে-- কেউ করেন সরায়, কেউ করেন লক্ষ্মীমূর্তিতে। পুরাণ অনুযায়ী, লক্ষ্মী সৌন্দর্যের প্রতীক, সম্পদের প্রতীক।

    লক্ষ্মীর সরার আগমন মূলত ওপার বাংলা থেকে। এদেশীয় লোকেরা মূর্তিপুজোতেই অভ্যস্ত। অন্যদিকে, ওপার বাংলার লোকেরা সরাতেই পুজো করে থাকেন। মূলত বাংলাদেশের ফরিদপুর, ঢাকা-- এই দুই জেলার লোকেদের সরায় পুজো করার প্রাচুর্য লক্ষ্য করা যায়। 

    প্রকারভেদে লক্ষ্মীর সরায় বিভিন্ন রকমের ছবি আঁকা হয়। কোনওটা দুর্গা সরা, কোনওটা পুতুল সরা, আবার কোনওটা জয়া-বিজয়া। নদিয়ার তাহেরপুর আড়ংঘাটা, নবদ্বীপ, ফুলিয়া-সহ আশেপাশের অঞ্চলে এই লক্ষ্মী সরা আঁকা হয়ে থাকে।

    মূলত দুর্গা পুজোর সময় থেকেই সরা আঁকার কাজে হাত লাগান শিল্পীরা। প্রথমে মাটি মেখে ছাঁচে ফেলে সরা তৈরি করা হয়। তারপর সেটিকে আগুনে পুড়িয়ে তার উপরে নানা ছবি আঁকা হয়। 

    তারপর বিক্রেতাদের হাতে ধরে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তাঁরা নিয়ে যান তাঁদের সৃষ্টিকে। সারা বছর অন্য কাজ করলেও পুজোর এই মরসুমে সরা তৈরির কাজে হাত লাগান শিল্পীরা। লক্ষ্মীলাভের আশায় সাধারণ মানুষ যেখানে এই দেবীর পূজা করেন, সেখানে সেই লক্ষ্মী তৈরি করেও লক্ষ্মী আসে না এই পালবাড়ির ঘরে-ঘরে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)