সকাল থেকেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে মনোরোগ বিভাগের ওপিডির একটি অংশ বন্ধ ছিল। ফলে সেখানে রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে। এরপরই রোগীর আত্মীয় পরিজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তারা এমএসভিপির অফিসের সামনে ভাঙচুর শুরু করেন। এর পরে মেডিক্যাল কলেজের সুপারের ঘরের বাইরে চেয়ার, টি টেবিল আছড়ে ভেঙে ফেলে। সুপারের দরজায়ে নেম প্লেট চেয়ার দিয়ে আঘাত করা হয়। মারধর করা হয় এক নিরাপত্তারক্ষীকে। ভাঙচুরের খবর পেয়ে মেডিক্যাল কলেজে ফাঁড়ির পুলিস ছুটে আসে। এক মহিলা-সহ ২ জন পুরুষকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, কলকাতার মতো উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অনশন চললেও হাসপাতালের সব ওপিডি খোলাই ছিল। শুধুমাত্র বন্ধ ছিল মনোরোগ বিভাগের ওপিডি। সেখানেই ভিড় হয়ে যায়। তার পরেই শুরু হয়ে যায় ভাঙচুর।
প্রসঙ্গত ৫ অক্টোবর কলকাতায় অনশন শুরু পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেও অনশনে বসেন দুই জুনিয়র ডাক্তার। টানা ৭ দিন অনশন করার পর গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়েন অলোক বর্মা নামে এক ডাক্তার। অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন সৌভিক নামে অন্য এক জুনিয়র ডাক্তার। তিনিও শেষপর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন।