কোজাগরীর আরাধনায় হরেক থিমে সাজছে হাওড়ার এই এলাকা, হবে কার্নিভালও
প্রতিদিন | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
মনিরুল ইসলাম: মা দুর্গা মর্ত ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন কৈলাসে। মাকে বিদায় জানানোর পর এবার মেয়েকে সাড়ম্বরে স্বাগত জানানোর জন্য সাজছে খালনা। হাওড়ার জয়পুরের খালনায় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বাড়ির পাশাপাশি বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তাদের মধ্যে এখন চরম ব্যস্ততা। কোথাও চলছে প্রতিমা আনার তোড়জোড়, তো কোথাও ইতিমধ্যেই চলে এসেছে প্রতিমা। তার সঙ্গে রয়েছে হরেক থিমের মণ্ডপ। সবমিলিয়ে দুর্গাপুজোর রেশ কাটার আগেই আর এক উদযাপনের জন্য তৈরি বাংলা। রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় লক্ষ্মীপুজো হয় খালনায়। প্রতিবছরই থাকে নানা থিম।
এবছর খালনার ক্ষুদিরাম তলায় কোহিনুর ক্লাবের পুজো ১৫৮ বছরে পড়ল। এবারে তাদের মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে সমুদ্রের তলদেশের আদলে। সেখানে থাকছে সমুদ্রের তলদেশের প্রাণীদের মডেল। রয়েছে হাঙর, ডলফিন, তিমি, অক্টোপাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক প্রাণী। থাকছে পাথর, কুমির। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক দীপক পাল ও জয়ন্ত দাস জানান, ‘‘সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র বোঝাতে এই থিম করা হয়েছে।’’ খালনা কৃষ্ণরায়তলা বারোয়ারির লক্ষ্মীপুজো এই বছর ১২৪ বছরে পড়েছে। এখানে থিম, ‘দাও ফিরে সেই অরণ্য’। যেখানে ধ্বংস ও সৃষ্টি বোঝানো হচ্ছে।
খালনা আনন্দময়ী তরুণ সংঘের পরিচালনায় লক্ষ্মীপুজোর থিম হল, রাধাকৃষ্ণ কুটির। প্রতিমা করা হয়েছে বুদ্ধমূর্তির আদলে। পল্লি সংঘের থিম কেদারনাথ। খালনা হরিসভা আমরা সবাই ক্লাব এবারে থিম করেছে ইসকনের মন্দির। পশ্চিম খালনা চারুময়ী লক্ষ্মী মন্দিরের লক্ষ্মীপুজো এবার ১৬০ বছরে পা রেখেছে। স্থায়ী মন্দিরে এই লক্ষ্মীপুজো হয়। এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এখানে প্রতিমাকে আসল সোনার গয়না পরানো হয়। কয়েকটি পরিবার মিলে এই পুজো করেন।
জানা গিয়েছে, প্রতিমার জন্য অনেকে সোনার গয়না দান করেন। সেগুলো পরানো হয় পুজোর দিন দুপুরে। এমনটাই জানিয়েছেন পরিবারের সদস্য অমৃত গুডলি। খালনায় অন্তত ২০ থেকে ২৫ টি বড় বারোয়ারি লক্ষ্মীপুজো হয়, যা দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়ও হয় প্রচুর। তাছাড়া, ঘরে ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনা তো আছেই। বিসর্জন শেষে এলাকার মধ্যে লক্ষ্মীপুজোর কার্নিভালেরও আয়োজন করা হয় স্থানীয় উদ্যোগে। এই কার্নিভাল ঘিরে আবার স্থানীয়দের উৎসাহ থাকে চোখে পড়ার মতো।