গোবিন্দ রায়: পুজো কার্নিভালের দিন কলকাতায় প্রতিবাদী ডাক্তারদের ডাকে ‘দ্রোহ কার্নিভাল’ কর্মসূচি ঘিরে আগে থেকেই সাবধানী কলকাতা পুলিশ। অশান্তির আশঙ্কায় ধর্মতলার আশেপাশে মোট ৯ জায়গায় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। মঙ্গলবার সকালে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে আসতেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস। সংগঠনের আইনজীবী হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, দ্রোহ কার্নিভালকে বানচাল করতে এটা পুলিশের পরিকল্পনা। গুরুত্ব সহকারে দ্রুত শুনানি হোক। এনিয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে ইমেল করা হয়। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে হাই কোর্টে। শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ তৈরি হয়েছে। দুপুরেই বিচারপতি কিষাণ কাপুরের বেঞ্চে শুনানি হবে।
সূত্রের খবর, জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের আবেদনের ভিত্তিতে মঙ্গলবারই বসছে হাই কোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। বিচারপতি কিষাণ কাপুরের বেঞ্চে দুপুর ২টো নাগাদ মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা। তাতে স্পষ্ট হতে পারে, আজ বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত ধর্মতলা চত্বরে দ্রোহ কার্নিভাল কতটা সম্ভব। এদিন বিকেলেই রেড রোডে রাজ্য সরকারের পুজো কার্নিভাল। নামীদামি মোট ৯০ টি প্রতিমা অংশ নেবে এখানে। থাকবেন দেশ-বিদেশের অতিথিরা। এই অনুষ্ঠানে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য গোড়া থেকে সক্রিয় পুলিশ।
এদিকে, জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরসের তরফে একইদিনে দ্রোহ কার্নিভালের ডাক দেওয়ার নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য, উৎসবের আবহে আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদ আরও জোরাল করে তোলা। তাই মুখ্যসচিবের শত আবেদন সত্ত্বেও এই কর্মসূচি থেকে পিছিয়ে আসেনি তারা। উলটে সোমবার মুখ্যসচিবকেই আমন্ত্রণ করে এসেছেন। দ্রোহ কার্নিভাল সাফল্যের সঙ্গে করতে মরিয়া চিকিৎসকরা। তাই জমায়েতে নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে গিয়েছে জেপিডি। দুপুরে বিশেষ বেঞ্চে শুনানির দিকে তাকিয়ে তাঁরা।