১৬৩ ধারা খারিজ করে 'দ্রোহের কার্নিভাল'-এর অনুমতি হাইকোর্টের
এই সময় | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
ধর্মতলা ও সংলগ্ন একাধিক জায়গায় কলকাতা পুলিশের ১৬৩ ধারা জারির নির্দেশ খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। 'দ্রোহের কার্নিভাল'-এর অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুর। আদালতের নির্দেশ, রেড রোড এবং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে থাকবে ব্যারিকেড।মঙ্গলবার রানি রাসমণি রোডে ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ করার ডাক দেয় জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টরস। বিকেল ৪টের সময় রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে জমায়েত হওয়ার কথা চিকিৎসকদের। কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ-সহ আশেপাশের বেশ কিছু জায়গায় ১৬৩ ধারা জারি করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবারই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এই চিকিৎসক সংগঠন।
চিকিৎসকদের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে মঙ্গলবার মামলাটি ওঠে বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুরের আদালতে। এ দিন রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান, ১ মাস আগেই পুজোর কার্নিভালের কথা ঘোষণা করা হয়। ১৩ অক্টোবর দ্রোহের কার্নিভাল-এর ডাক দেওয়া হয়। এটা কি কার্নিভালকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা নয়?
বিচারপতি পাল্টা রাজ্যকে প্রশ্ন করে, ‘রাজ্য কি কার্নিভালের আয়োজন সামলাতে পারছেন না?’ মামলাকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘ডাক্তারদের কার্নিভাল হবে রানি রাসমণিতে। সুষ্ঠুভাবে তা সম্পন্ন করা হবে। রেড রোডের সঙ্গে তা কোনওভাবেই সম্পর্কযুক্ত নয়। কার্নিভালের জন্য অনুমতি দেওয়া হোক।’
রাজ্যের আইনজীবী আদালতে জানান, আগামীকাল এই দ্রোহের কার্নিভাল হলে কোন সমস্যা হত না। কিন্তু আয়োজকরা এই দিনই কর্মসূচি রাখতে চায়ছেন। তাতেই উদ্দেশ্য স্পষ্ট হয়ে যায়। এই কর্মসূচি যেখানে হবে তার থেকে ৫০ থেকে ৬০ মিটারের মধ্যেই পুজোর কার্নিভাল হচ্ছে। তা সমস্যা সৃষ্টি করবে।
বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘ডাক্তাররা গুণ্ডা নন যে তাঁদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিতে হবে।’ রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে চান কি না, তাও জানতে চায় আদালত। এই কর্মসূচি রামলীলা ময়দানে স্থানান্তরিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে। কিন্তু চিকিৎসকদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, তা কোনওভাবেই সম্ভব নয়।
এ দিন কলকাতা হাইকোর্ট দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দেয়। মঙ্গলবার সকালে নতুন করে কলকাতা পুলিশ ১৬৩ ধারা লাগু নিয়ে যে নির্দেশিকা দিয়েছিল, তা খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট।