• রানি রাসমণি রোডে দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দিল হাইকোর্ট
    এই সময় | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
  • মঙ্গলবার জোড়া কার্নিভালের সাক্ষী থাকবে কলকাতাবাসী। একদিকে, দুর্গাপুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হবে রেড রোডে। কলকাতার প্রসিদ্ধ পুজোগুলি তাঁদের প্রতিমা নিয়ে হাজির অনুষ্ঠানে। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার সঙ্গে থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। অন্যদিকে, জুনিয়র ডাক্তাররা ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ পালন করতে চলেছেন। রানি রাসমণি রোড এলাকায় গড়ে তোলা হবে মানববন্ধন। কী আপডেট রয়েছে দুই কার্নিভালের, দেখে নিন একনজরে –ধর্মতলায় মানববন্ধনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশকে ঘিরে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান। ডিসি সেন্ট্রালকে ঘিরে বিক্ষোভ আন্দোলনকারীদের।

    সাংসদ সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একগুচ্ছ তারকা উপস্থিত কার্নিভালে। নাচের তালে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রীও।

    চিকিৎসক তপব্রত রায়কে ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিল আইএমএ বেঙ্গল শাখা। আইএমএ-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, চিকিৎসক তপব্রত রায়কে অবিলম্বে কাজে যোগদানের ব্যবস্থা করাতে হবে। নচেৎ, আইএমএ অ্যাকশান কমিটির তরফে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে অনশনকারী উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের ইন্টার্ন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থার অবনতি। তাঁকে CCU-তে পাঠানো হলো।

    মঙ্গলবার অনশনে যোগ দিলেন আরও দুই জুনিয়র চিকিৎসক রুমেলিকা কুমার ও স্পন্দন চৌধুরী। রুমেলিকা কুমার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ-এর ফাইনাল ইয়ারের পিজিটি। অন্যদিকে, স্পন্দন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পিজিটি।

    .

    দুর্গাপুজোর কার্নিভালে ‘প্রতীকী অনশনকারী’ ব্যাজ লাগিয়ে ঢুকেছিলেন চিকিৎসক তপব্রত রায়। তিনি কলকাতা পুরসভার মেডিক্যাল টিমের সদস্য ছিলেন। তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা গানে নৃত্য পরিবেশন করা হলো কার্নিভালে। গানটি গেয়েছেন প্রখ্যাত গায়িকা শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে প্রথম বার এই দুর্গাপুজো কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল। এরপর থেকে প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। কলকাতার প্রসিদ্ধ পুজোগুলি বিসর্জনের এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন।

    রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    হাইকোর্টের নির্দেশের পর লৌহকপাট সরিয়ে দেওয়া হলো রানি রাসমণি রোডে। তবে, পুজোর কার্নিভাল এবং দ্রোহের কার্নিভালের রুটের মাঝের অংশে ব্যারিকেড রাখা হতে পারে। অন্যদিকে, ব্যারিকেড খুলতেই উচ্ছ্বাস আন্দোলনকারীদের মধ্যে।হাইকোর্টের নির্দেশ, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে পুলিশকে। দ্রোহের কার্নিভালে কত মানুষের জমায়েত হবে তা কলকাতা পুলিশকে অবগত করতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের। এই কর্মসূচির জন্য কোনওভাবেই রানি রাসমণি রোড এলাকার বাইরে যেতে পারবে না। ব্যারিকেডের ভেতরেই থাকতে হবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কার্নিভাল করতে হবে।

    রানি রাসমণি রোডে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফোরামের দ্রোহের কার্নিভালের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রবি কৃষাণ কাপুরের অবকাশকালীন বেঞ্চ।

    ‘দ্রোহের কার্নিভাল’-এর আগে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ এবং আশপাশের এলাকায় ১৬৩ ধারা জারি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্‌স। রাজ্যের তরফে হাইকোর্টে আর্জি জানানো হয়, অন্যদিন দ্রোহের কার্নিভাল করা হোক। রামলীলা ময়দানে এই কর্মসূচি করা যেতে পারে বলে জানানো হয় রাজ্যের তরফে।

    নেতাজি মূর্তির কাছে গড়ে তোলা হয়েছে বিশালাকৃতি ব্যারিকেড। পুলিশের তরফে রেড রোড এবং রানি রাসমণি রোডের একটি করে লেন ঘিরে ফেলা হয়েছে ব্যারিকেডে দিয়ে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা।দুপুর থেকেই শহরের প্রসিদ্ধ পুজোগুলির ট্যাবলো আসতে শুরু করেছে রেড রোডে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।দ্রোহের কার্নিভাল রুখতে মধ্য কলকাতায় ৯ জায়গায় জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, রানি রাসমণি রোড এবং সংলগ্ন কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৬৩ ধারা (পূর্ববর্তী ১৪৪ ধারা)।

    রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিগত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঞ্চে হাজির থাকেন কলকাতার বিশিষ্ট শিল্পীরা, হাজির হন বহু বিদেশি অতিথিও। পুজোর পর কার্নিভাল দেখতে মুখিয়ে থাকেন কলকাতার বাসিন্দারা। একই দিনে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ ও নিজেদের দাবি দাওয়া নিয়ে দ্রোহের কার্নিভাল পালন করতে চলেছে আন্দোলনরত ডাক্তারেরা।
  • Link to this news (এই সময়)