বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত থেকে উধাও টাকা, পলাতক অর্থ বিভাগের কর্মী
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত থেকে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিআইডি। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দফতরের ভক্ত মণ্ডল। এই ঘটনায় আগেই ব্যাঙ্কের ম্যানেজার পিনাকী বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। যদিও তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত। তবে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে না পারায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের জামিন মঞ্জুর করেন বর্ধমানের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে তাঁকে দুর্গাপুর থেকে গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। এছাড়াও ব্যাঙ্কে হানা দিয়ে একটি কম্পিউটারও বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত প্রকল্পে জমা ছিল ১ কোটি ৯৩ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮৭৬ টাকা। তবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই সেই টাকা তুলে নেওয়া হয়। সে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে পারার পরেই শোরগোল পড়ে যায়।
খণ্ডঘোষের তোড়কনায় এই মামলার মূল অভিযুক্তের এক আত্মীয়ের বাড়িতেও হানা দেয় সিআইডি। মেয়াদ মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে কীভাবে এই টাকা তুলে নেওয়া হল তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কের ম্যানেজার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সই নথির সইয়ের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন। ম্যানেজার তারপরে সম্মতি দেন। তারপরেই সুব্রত দাস নামে এক ঠিকাদারের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে। যদিও নিয়ম অনুযায়ী সেই টাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার কথা। তারপরেও কীভাবে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল? তাই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। তাছাড়া সইয়ের মিল না থাকা সত্ত্বেও অনুমতি দিয়েছিলেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। তারপরেই সন্দেশের বশে ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও একটি প্রশ্ন উঠেছে, সেক্ষেত্রে টাকা উঠার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। প্রায় সাত মাস পর এ বিষয়ে জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে । ফলে সে ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবেই কি দেরি করা হয়েছিল? সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে সিআইডি। তদন্তকারীরা এই কারণে লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সমস্ত কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে। এদিকে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও বিচারক বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন। যদিও তার উত্তর মেলেনি। দেরিতে অভিযোগ দায়ের করা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারিক। তবে অনেক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রের খবর।