দ্রোহের কার্নিভালে যোগ জনতার, উৎসবের কার্নিভাল মমতাময়, গানও তাঁর, নাচলেনও তিনি
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
দ্রোহের কার্নিভালকে আটকাতে চেষ্টার কোনও কসুর করেনি সরকার। তবে শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ব্যারিকেড সরিয়ে নেয় পুলিশ। এদিকে আদালতের রায়ের পরে লৌহ কপাট কার্যত সরিয়ে নেয় পুলিশ। এরপরই শুরু হয় দ্রোহের কার্নিভাল। কার্যত প্রস্তুতিটা আগে থেকেই ছিল। আদালতের নির্দেশ দেখে আর দ্রোহের কার্নিভালে বাধা দিতে পারেনি পুলিশ। আদালতে জোর ধাক্কা খায় পুলিশ। এরপরই শুরু হয় দ্রোহের কার্নিভাল।
তবে কেবলমাত্র জুনিয়র চিকিৎসকরাই নন, প্রচুর সাধারণ মানুষ এই কার্নিভালে যোগ দেন। একদিকে দেখা যায় উৎসবের কার্নিভালে শিল্পীদের নাচ। সবটাই একেবারে চেনা ছকে। সেখানে কঠোর নিরাপত্তা। আলো ঝলমলে মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাততালি দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কয়েকজন শিল্পী তথা রাজনীতিবিদ তাঁকে ঘিরে ছিলেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দেখা গেল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুন মালিয়া সহ বহু বিশিষ্ট অভিনেত্রী-রাজনীতিককে।
সাংসদ অভিনেত্রী জুন মালিয়া, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, সায়নী ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ নুসরত জাহান, অভিনেতা, বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, অভিনেত্রী প্রিয়া পাল, 'মিঠাই' অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুণ্ড, শ্রীতমা ভট্টাচার্য, অভিনেতা দিগন্ত বাগচীকে দেখা গিয়েছিল উৎসবের কার্নিভালে।
রেড রোডে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না, তা আগে থেকেই জানিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তাঁর স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের স্কুল ‘দীক্ষা মঞ্জরী’র তরফে পরিবেশিত নৃত্যানুষ্ঠান ছিল। এই অনুষ্ঠানে ডোনার নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় নাচ। যে গানে এই নাচ পরিবেশিত হয়েছে, তা লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গানের সুরও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গানটি গেয়েছেন শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে গান পরিবেশিত হয়েছে তার নাম 'আমার আড়ালে , আমার আবডালে।'
তবে কোথাও যেন একটা ছন্দপতন হয়ে যায় এদিন। সরকারি কার্নিভালে কিছু মানুষ এসেছিলেন। কিন্তু সবটাই যেন নির্দেশ মেনে। তবে দ্রোহের কার্নিভালে একেবারেই অন্য ছবি।
সেই দ্রোহের কার্নিভালে দেখা যায় বার বার বাধা দেওয়া হয়েছে। মানববন্ধনেও বাধা দেওয়ার অভিযোগ। কিন্তু তারপরেও নতুন উদ্যমে হয়েছে দ্রোহের কার্নিভাল। বেজেছে ঢাক। হয়েছে নাচ। তবুও ডোরিনা ক্রশিংয়ে মানববন্ধনের মাঝে কয়েকটি বাস ঢুকে যায়। এমনকী কার্নিভালের গাড়িও ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। তার জেরে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। এরপর পুলিশের পদস্থ কর্তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি পুলিশ জোর করে মানববন্ধনের মধ্য়ে গাড়ি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সেই সঙ্গেই তাঁরা বলেন, পুলিশের সুরক্ষার জন্য আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি।