শিরদাঁড়াকেও কি প্রবল ভয়? এবার সরকারি কার্নিভাল থেকে আটক করা হল এক চিকিৎসককে। কলকাতা পুরসভার এক চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে বলে খবর। তাঁর নাম ডাঃ তপোব্রত রায়। পুজোর কার্নিভালে এমার্জেন্সি টিমের সদস্য হিসাবে ছিলেন তিনি। সেখানেই ডিউটিতে ছিলেন তিনি। আর সেখান থেকেই তাঁকে আটক করা হয়।
সূত্রের খবর, তাঁর বুকে একটা ব্যাজ ছিল যেখানে লেখা ছিল প্রতীকী অনশনকারী। অর্থাৎ জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনকে কার্যত সমর্থন জানাচ্ছিলেন তিনি। আর সেকারণেই কি আটক করা হল চিকিৎসককে?
রানি রাসমণি রোডে চলছে দ্রোহের কার্নিভাল। আর রেড রোডে হচ্ছে সরকারি কার্নিভাল। সেই সরকারি কার্নিভালে এমার্জেন্সি ডিউটিতে ছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি প্রতীকী অনশনকারী ব্যাজ পরেছিলেন। কার্যত ডিউটিতে এসেও জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি তাঁর সংহতিটা তিনি জানাতে ভোলেননি। তারপরই এই ব্যাজ চোখে পরে পুলিশের। তাকে পুলিশ আটক করে। তবে তিনি কেন এই ধরনের ব্যাজ পরে এসেছিলেন সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
তবে গোটা ঘটনায় একাধিক প্রশ্ন উঠছে। তিনি সামান্য় একটি ব্যাজ পরে এসেছিলেন। কিন্তু সেখানেও আপত্তি!
আইএমএ রাজ্য কমিটির তরফ থেকে বলা হয়েছে অবিলম্বে তাঁকে ছাড়তে হবে। আইএমএ জানিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ডাক্তার তিনি। সরকারি কার্নিভালে অন ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার ছিলেন। পুলিশ কর্মচারীরা তাঁকে কথা বলব বলে ডেকে নিয়ে যায়। কোন কারণে আটক সেটা বলা হচ্ছে না। মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছ। ডাক্তারবাবুকে এক কোণে বসিয়ে রাখা হয়েছে। অন ডিউটি ডাক্তারকে এভাবে আটকে রাখা যায় না। কোনও কারণ দেখাতে পারছে না। আমাদের চিকিৎসক
আইনজীবী বলেন, যারাই প্রতিবাদ করছে তাদের বিরুদ্ধেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এভাবে কাউকে আটক করা যায় না। তাঁর বুকের ব্যাজে লেখা ছিল উই ওয়ান্ট জাস্টিস। আর প্রতীকী অনশনকারী। তাঁর বিরুদ্ধে কী কেস সেটাও বলছে না।
এদিকে চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই তীব্র প্রতিবাদ জানান চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি এভাবে কোনও অন ডিউটি চিকিৎসককে আটক করা যায় না। তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করে রাখা যায় না। আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সব মিলিয়ে চিকিৎসককে আটক করার ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছে। ব্যাজ দেখে কেন আটক করা হল? ব্যাজে তো আপত্তিকর কিছু লেখা ছিল না।