রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য সরকারের কাছে হলফনামা তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানিতে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা - মায়ের তরফে থাকা আইনজীবী। এর পরই আদালত রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়ে জানায়, বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখবে তারা।
এদিন আদালতে নির্যাতিতার বাবা মায়ের আইনজীবী বলেন, অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই গার্হস্থ হিংসার অভিযোগ ছিল। তার পরেও কোনও কিছু খতিয়ে না দেখে তাকে অন্ধের মতো নিয়োগ করা হয়েছে। জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তের কাছ থেকে কলকাতা পুলিশের মোটরসাইকেল উদ্ধার হয়েছে। আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আস্ত থানা পরিচালনা করছেন সিভিক ভলান্টিয়াররা।
এসব শুনে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় রাদ্যের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কোন আইনে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়েছে। জবাবে তিনি বলেন, ২০১১ সালে জারি একটি নির্দেশিকার মাধ্যমে। এর পর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে।
একথা শুনে প্রধান বিচারপতি রাজ্য সরকারকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে তথ্য চেয়ে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, হলফনামায় রাজ্য সরকারকে উল্লেখ করতে হবে।
১.কোন বৈধ অধিকার প্রয়োগ করে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে?
২. সিভিক ভলান্টিরা নিয়োগের প্রক্রিয়া কী?
৩. নিয়োগের যোগ্যতামান কী?
৪. নিয়োগের আগে সেই ব্যক্তির কী কী জিনিস খতিয়ে দেখা হয়?
৫. কোন কোন প্রতিষ্ঠানে তাদের নিয়োগ করা হয়?
৬. সিভিক ভলান্টিয়ারদের দৈনিক বা মাসিক কী হিসাবে বেতন দেওয়া হয়?
৭. সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের বিস্তারিত প্রক্রিয়া জানাতে হবে।
৮. সিভিক ভলান্টিয়াররা স্কুল, হাসপাতালের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারকে থানায় কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কি না। অপরাধের তদন্তে তারা কোনওভাবে যুক্ত কি না?
আদালত প্রশ্ন তুলেছে, রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয় না তো? তথ্য পেলে বিষয়টি গভীরে খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।