নাবালিকাকে কুরুচিকর মন্তব্য, হাততালি দিয়ে ধৃত ২ মহিলা, CBI তদন্তে স্থগিতাদেশ
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
তৃণমূল সাংসদের নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে একসময় সরগরম হয়ে উঠেছিল রাজনীতি। সেই সময় এই মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে হাততালি দেওয়ায় দুই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সিবিআই এ বিষয়ে কোনও মামলা করতে পারবে না।
ওই দুই মহিলাকে গ্রেফতারের পর পুলিশি হেফাজতে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গল বেঞ্চ। সোমবার সেই নির্দেশের উপরেই স্থগিতাদেশ দিয়েছে অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশ, আপাতত এই ঘটনায় কোনও তদন্ত করতে পারবে না সিবিআই। মামলা দায়ের করতে পারবে না। এর ফলে আগামী ৬ নভেম্বর পর্যন্ত সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর হবে না।
কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের পক্ষে আইনজীবী জানান, এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও মামলা দায়ের করেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। এরপরে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, যেহেতু মারধর করায় অভিযুক্ত পুলিশ এবং আধিকারিকরা সরকারি কর্মী তাই তারা পালিয়ে যাবেন না। ফলে এখনই মামলা দায়ের করার প্রয়োজন নেই। আগামী ৪ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। তখন এবিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা হাইকোর্ট।
জানা গিয়েছে, গত ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর ফলতা থানার অধীনে ওই দুই মহিলাকে হাততালি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। অভিযোগ ছিল, তাঁরা তৃণমূল নেতার শিশুকন্যা সম্পর্কে কুমন্তব্যকে সমর্থন করে হাততালি দিয়ে উৎসাহ দিয়েছিলেন। পরে গ্রেফতার করে তাদের পুলিশি হেফাজতে মারধরেরও অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় তারা সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, শুধুমাত্র হাততালি দেওয়ার জন্য কাউকে গ্রেফতার করা যায় কি না। ফলতা থানায় মামলাটি দায়ের হলেও অন্যান্য থানাতেও একই ধরনের অভিযোগ নথিভুক্ত হয় বলে জানা গিয়েছে। আরও অভিযোগ তোলা হয়, পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তাঁদের ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে জেল হেফাজতে থাকাকালীন বিষয়টি সামনে আসে। হাততালি দেওয়ার অপরাধে তাদের ২৬ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন নিম্ন আদালতের বিচারক। পরে বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।