এবারেও সেই একই ছবি ধরা পড়ল সেখানে। এর পাশাপাশি ভয়ংকর অভিযোগ শোনা যাচ্ছে এলাকাবাসীদের কাছ থেকে। অভিযোগ, ঠাকুর দেখতে এসে পাড়ার লোকেদের বাড়ির বাগানে, দরজার বাইরে-গেটে-পাঁচিলের ভিতরে যত্রতত্র মলমূত্র ত্যাগ করে গিয়েছে হাজার হাজার দর্শনার্থী। আর সেই সব মলমূত্রের দুর্গন্ধে নিজেদের বাড়িতেই কার্যত দরজা-জানলা বন্ধ করে বসে থাকতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।
এখানেই শেষ নয়। অভিযোগের পাহাড় বিশাল। আরও জানা গিয়েছে, বাড়ির বাইরে রাখা অনেক সৌখিন আসবাব যেমন দোলনা, চেয়ার, ছোট টেবিল, ফুল গাছের টব পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে গিয়েছে লোকজন। বাড়ির বাইরে দেওয়ালে অশ্লীল ছবি এঁকে দেওয়া হয়েছে। আবার কোথাও গাড়ির হাওয়া খুলে দেওয়া হয়েছে। তারপর খাবারের প্যাকেট, জলের বোতলের ছড়াছড়ি তো আছেই।
এই অবস্থার জন্য শহরের বাসিন্দারা বাইরে থেকে আসা কিছু অসচেতন দর্শনার্থীদের দায়ী করেছেন। কল্যাণী শহরের তিনটি বড় পুজো দেখতে এবারও কাতারে কাতারে মানুষ এসেছিলেন। তাঁদেরই একাংশের ‘তাণ্ডবে’ নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। এনিয়ে তাঁরা ক্রমাগত ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন সামাজিক মাধ্যমে। অন্যদিকে, তবে বাইরে থেকে আসা দর্শকদের অনেকেই বলছেন, পর্যাপ্ত শৌচালয় নেই। অথচ পুজোর সময় প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করেছে। তাছাড়া, যেখানে সেখানে ‘নো এন্ট্রি’ করে দেওয়ায় রাস্তা পার করে সুলভ শৌচালয়ে পৌঁছতেও অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। এসব কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে বড় পুজোর উদ্যোক্তাদের দাবি, পুজো প্রাঙ্গণের আশপাশে পর্যাপ্ত শৌচালয়ের ব্যবস্থা ছিল। শহরের এক ভুক্তভোগী বাসিন্দার কথায়, ‘মানুষের ভিড় সহ্য করা যায়। কিন্তু এমন নোংরামো অসহ্য।’ পুরসভা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মঙ্গলবার শহরের সব প্রতিমা বিসর্জন হয়ে যাবে। তারপর শহর সাফাইয়ের কাজে নামা হবে।