ঘটনাটি ঠিক কী? রাজ্য়ে তখন ক্ষমতায় বামেরা। সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন টাটা গোষ্ঠীর তত্কালীন চেয়ারম্যান রতন টাটা। কিন্তু সেই একলাখি গাড়ি কারখানার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবল আন্দোলনের মুখে শেষপর্য়ন্ত টাটাদের কারখানা চলে গিয়েছিল গুজরাটে। ১০ অক্টোবর প্রয়াত হয়েছেন রতন টাটা। তাঁর মৃত্যুর পর সিঙ্গুরে ফের ন্য়ানো কারখানার স্মৃতি উসকে দিতে চাইছেন শুভেন্দু। তেমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
এদিকে ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। রাজনৈতিক মহলের মতে, টাটারা সিঙ্গুরে ছাড়লেও, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গিয়েছিলেন মহাকরণে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর কিন্তু কথা রেখেছেন মমতা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জমি ফেরত পেয়েছেন সিঙ্গুরের 'অনিচ্ছুক' কৃষকরা। শুধু তাই নয়, সিঙ্গুরে শিল্প স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী। তাঁর ঘোষণা, 'সিঙ্গুরে অ্যাগ্রো ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করছি। ১১ একর জমির উপরে এই পার্ক তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্রশিল্প উন্নয়ন নিগম।' অর্থাৎ গাড়ি তৈরির কারখানার বদলে কৃষিভিত্তিক শিল্প।