দীর্ঘ জটিলতার অবসান, ধূপগুড়ি-ফালাকাটা সড়ক নির্মাণের অর্থ বরাদ্দ কেন্দ্রের
এই সময় | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
অবশেষে দীর্ঘদিনের জটিলতার অবসান। ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটা চার লেনের সড়ক নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় সরকার। জমি জটের কারণে আটকে ছিল প্রকল্পটি। অর্থ বরাদ্দের কথা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি। এ বার সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরুর অপেক্ষায় জেলার বাসিন্দারা।মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ভূতল পরিবহণ দপ্তরের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ধূপগুড়ি থেকে ফালাকাটা চার লেনের ২৯.৮৬ কিলোমিটারের রাস্তা নির্মাণের জন্য মোট ১৬০৬.১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভাগীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়িও ওই মর্মে নিজস্ব এক্স হ্যান্ডেলে একই বিষয়ে পোস্ট করেন। বিষয়টি প্রকাশ্য আসতেই উচ্ছ্বসিত ধূপগুড়ি ও ফালাকাটার মানুষ। উল্লেখ্য, শিলিগুড়ি লাগোয়া ঘোষপুকুর থেকে ফুলবাড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি বাইপাস দিয়ে ধূপগুড়ি পর্যন্ত ৩১ ডি ডাতীয় সড়ক সম্প্রাসরণ করে চার লেনের মহাসড়ক তৈরি হবে। এই সড়কটি ইস্ট-ওয়েস্ট করিডোরের একটি অংশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় দশ বছর ধরে ওই প্রকল্পের কাজটি ঝুলে ছিল জমি জটিলতায়। নির্দিষ্ট প্রকল্পকে ঘিরে অশান্তিও কম হয়নি। জমি জট কাটাতে কালঘাম ছুটে গিয়েছে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের। ওই প্রস্তাবিত প্রকল্পটি ঠিক যে জমির উপর দিয়ে যাওয়ার কথা, তার বেশিরভাগ অংশটাই উর্বর কৃষি জমি।
স্বাভাবিক কারণেই কৃষিপ্রধান ওই এলাকার বাসিন্দারা প্রাথমিক অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারকে জমি দিতে অস্বীকার করে। আন্দোলনে সামিল হন এলাকার বাসিন্দারা। পরবর্তীকালে, রাজ্য সরকারের মধ্যস্থতায় শেষ পর্যন্ত ওই জমির বিনিময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত বিনিময় মূল্যের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি টাকা ভূমিদাতাদের দিতে বাধ্য করে রাজ্য সরকার।
অবশেষে কাটে সমস্ত জটিলতা। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলেই শুরু হয়ে যাবে ওই মহা সড়ক নির্মাণের কাজ। ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত বলেন, 'আমরা আনন্দিত। আমরা চাই রাস্তাটা হোক। ওই প্রকল্পকে ঘিরে রাজনৈতিক জটিলতা যাতে তৈরি না হয়, সেই মর্মে সবার কাছে অনুরোধ রইল।'