‘আমার অপরাধ কোনটা…’, থানা থেকে বেরিয়ে কী বললেন চিকিৎসক তপোব্রত?
এই সময় | ১৬ অক্টোবর ২০২৪
রেড রোডে দুর্গাপুজোর কার্নিভাল থেকে ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চিকিৎসক তপোব্রত রায়কে। তাঁর পোশাকে ‘প্রতীকী অনশনকারী’ ব্যাজ লাগানো থাকায় তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে দাবি। থানা থেকে বেরিয়ে কী বললেন তিনি?তপোব্রত বলেন, ‘দুর্গাপুজোর কার্নিভালে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে ডিউটি ছিল। আমি KMC-র ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেডিক্যাল অফিসার। দুপুর ২টো নাগাদ ডিউটিতে যোগ দিই।’ ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের সমর্থনে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দিয়েছিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। সেই কারণেই ‘প্রতীকী অনশনকারী’ ব্যাজ ঝুলিয়ে ছিলেন বলে জানান তপোব্রত। দুর্গাপুজোর কার্নিভালে মেডিক্যাল টিমের সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
তপোব্রতর কথায়, ‘ডিউটি চলাকালীন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক আমায় ডেকে নিয়ে যান। দর্শকাসনের পিছনে বসিয়ে রাখা হয়। ওখানে বেশ কিছু ছবি তোলা হয়। আমি রেড রোডে কার্নিভালে কেন আছি, তা জানতে চাওয়া হয়।’ এরপর তাঁর কাছে বিভিন্ন কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁর আইডি কার্ড এবং পাস দেখান। অফিসিয়াল ডিউটির কাগজ দেখাতে বলা হয়। তিনি জানান, তাঁর চেয়ারের পাশে কাগজপত্র আছে। তাঁর দাবি, এরপরেই তাঁকে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়।
তপোব্রত বলেন, ‘কোন থানায় যেতে হবে তা বলেননি কেউ। ফোন রেখে দিতে বলা হয়। থানায় ঢোকার পর ফোন দিতে বলা হয়। কোনও সিজ় লেটার ছাড়াই সাড়ে ৩ ঘণ্টা রেখে দেয়।’ তপোব্রত বলেন, ‘আমার কোনটা অপরাধ, সেটা ওঁরা বলতে পারেননি। আমি ফোন ব্যবহার করতে চাইলেও সেটা করতে দেওয়া হয়নি।’ এই ঘটনার পর ময়দান থানায় হাজির হন ধর্মতলায় জড়ো হওয়া আন্দোলনকারীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই তপোব্রতকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। থানার সামনেই উচ্ছ্বাস দেখান আন্দোলনকারীরা। পরে ধর্মতলার অনশন মঞ্চেও হাজির হন চিকিৎসক তপোব্রত রায়। যদিও, কলকাতা পুলিশের তরফে বিষয়টি নিয়ে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি।