সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের তারানগরে। ওয়াসিকুলের বাড়ি গঙ্গা থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরের রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামে। তিনি মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানার অন্তর্গত ডিআইবিতে কর্মরত। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই তারানগর গ্রামে গঙ্গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়। গঙ্গার ভাঙন দেখতে তারানগরে নদীর পাড়ে জড়ো হয়েছিলেন বহু মানুষ। সে সময় নদীপাড় থেকে উৎসুক জনতাকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছিলেন ওয়াসিকুল। তখনই আচমকা নদী ভাঙনে গঙ্গায় তলিয়ে যান চার জন। সঙ্গে সঙ্গে জলে ঝাঁপ দেন ওয়াসিকুল। সাঁতার কেটে দুই জনকে পাড়ে উঠতে সাহায্য করেন। কিন্তু এর পর নিজেই স্রোতের টানে তলিয়ে যান। অনেক চেষ্টা করেও তাঁর আর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। ঘটনায় ওয়াসিকুলের গ্রাম রাধাকৃষ্ণপুরে শোকের ছায়া নেমেছে। তাঁর খোঁজে গঙ্গায় শুরু হয়েছে তল্লাশি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওয়াসিকুলের সঙ্গে গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছেন আরও এক জন ব্যক্তি। যদিও তাঁর নাম বা পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই এলাকায় ছুটে যান লালগোলা থানার পুলিশ এবং বিএসএফের আধিকারিকেরা। তবে দীর্ঘ ক্ষণ তল্লাশি চালানোর পরেও ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের খোঁজ মেলেনি। ইতিমধ্যে নিখোঁজ ওই সিভিকের সন্ধানে বাংলাদেশের বিজিবি–র সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন বিএসএফ আধিকারিকেরা।