এই ঘটনা নিয়ে সুজিত বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন করার অধিকার সকলের রয়েছে। কিন্তু এটা কী ধরনের অসভ্যতা! গাড়িতে আক্রমণ করবে?’’ সুজিত আরও বলেন, ‘‘ওদের থেকে আমাদের পুজোর লোক অনেক বেশি ছিল। ওখানে যদি পাল্টা হত, তা হলে কি ভাল হত! আমি চাইনি পুজোর মধ্যে ঘটনাটা বাড়তে দিতে।’’ সুজিত চলে যাওয়ার খানিক ক্ষণ পরে সেখানে কলকাতা পুলিশের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে সমবেত জনতার মধ্যে থেকে।
যদিও আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, মানববন্ধন হচ্ছে দেখেও মানুষের প্রায় ঘাড়ের উপর দিয়ে যাচ্ছিল সুজিতের গাড়ি। হালতুর বাসিন্দা নবনীতা দাস যোগ দিতে এসেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকা মানববন্ধনে যোগ দিতে। তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রী বলে কি মানুষকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে দেবেন! ওঁর গাড়ি যে ভাবে গিয়েছে তাতে এক সুতোর এ দিক-ও দিক হলেই আমার পা পিষে যেত।’’
অনেকের মতে, প্রশাসনের বিরুদ্ধে সার্বিক ক্ষোভই বিভিন্ন ভাবে আছড়ে পড়েছে রানি রাসমণি থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত। এক দিকে দ্রোহের কার্নিভাল, অন্য দিকে একই জায়গায় মানববন্ধন— মঙ্গলবার ধর্মতলা কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।