পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়া স্টেশনের ক্যাব রোডের কাছে একটি ব্যাঙ্কের এটিএম কাউন্টার থেকে টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে কয়েক দিন আগে। ওই ঘটনার দিন দুয়েক পরে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের এটিএম ম্যানেজার ওই এটিএম মেশিন পরীক্ষা গিয়ে দেখেন ভল্ট ভাঙা। উধাও ভল্টের মধ্যে রাখা টাকা। গত ১ অক্টোবর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। ১৩ অক্টোবর গোলাবাড়ি থানা থেকে মামলাটি হাওড়া জিআরপি থানায় হস্তান্তর করা হয়। তদন্তে নেমে জিআরপি থানা জানতে পারে ওই এটিএম কাউন্টারে কোনও নিরাপত্তারক্ষী থাকতেন না। চুরির সময় এক জন মাথায় হেলমেট পরে এটিএম কাউন্টারে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে শাটার ফেলে দেয়। তার পরনে ছিল নীল টি শার্ট এবং কালো ট্রাউজার্স। পিঠে ছিল একটি কালো ব্যাগ। মাত্র ৯ সেকেন্ডের মধ্যে কাউন্টারের মধ্যে থাকা সিসি ক্যামেরার তার কেটে দেওয়ার পাশাপাশি ডিস্কও হাতিয়ে নেয়। তার পর নকল চাবি দিয়ে এটিএম মেশিন খুলে ভল্টের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয়।
তাই এটিএমের ভিতরের সিসি ক্যামেরা থেকে চুরির তেমন কোনও ছবি দেখা মেলেনি। তবে স্টেশনের বাইরে সিসি ক্যামেরার সাহায্যে ওই দুষ্কৃতীকে দু’জনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। পরে সে স্টেশনের বাইরের ভিড়ে মিশে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটিএম থেকে টাকা চুরি করায় ওই দুষ্কৃতী যথেষ্ট অভিজ্ঞ। এটিএম মেশিনের যাবতীয় খুঁটিনাটি জানত। শুধু তাই নয়, ভল্টের পাসওয়ার্ড পর্যন্ত তার জানা ছিল। সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সে সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয়। পুলিশ আরও জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে ব্যাঙ্কের এটিএম ম্যানেজার পরিবর্তন হলেও এটিএমের পাসওয়ার্ড একই ছিল। সেখান থেকে তদন্তকারীদের সন্দেহ, ওই অপরাধে ব্যাঙ্কের কোনও কর্মীও যুক্ত থাকতে পারেন। ইতিমধ্যে তদন্তকারী আধিকারিকেরা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ককর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিয়েছে। অন্য দিকে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জোনাল অফিসের অনুমতি ছাড়া তাঁরা এটিএম মেশিনের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারেন না। বিষয়টি দেখার জন্য তাঁদের প্রযুক্তিবিদরা আসছেন।